নেপালে পাচারের আগে ঘোষপুকুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই প্যাকেট ভর্তি হাতির দাঁত। উদ্ধার হওয়া হাতির দাঁতের ওজন ১৩৬ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। কোথা থেকে চোরাশিকারীরা হাতির দাঁত নিয়ে এসেছিল, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। ধৃতদের নাম বুদু সামাদ এবং নীতু লাল নাগাশিয়া। ধৃতদের বাড়ি ফাঁসিদেওয়া এলাকায়। তাদের জেরা চলছে। বুধবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
advertisement
এরাই কি চোরাশিকারী? নাকি পাচারের লিঙ্কম্যান? সেই প্রশ্নের উত্তর উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ঘোষপুকুর রেঞ্জের রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া জানান, ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার দীর্ঘ হাতির দাঁত নমুনা হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছিল। বাকি অংশ কোথায় রয়েছে তা ধৃতদের জেরা করেই মিলবে। বেশ কয়েক দিন ধরেই খবর আসছিল। এসএসবি-র গোয়েন্দা এবং বন দপ্তর অবশেষে ফাঁদে ফেলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন : অসুস্থ স্বামী কর্মহীন, টোটো চালিয়ে অন্নসংস্থান দুই সন্তানের মায়ের
ধৃতদের জেরা করেই চক্রের মূল পাণ্ডা এবং বাকিদের খোঁজ নেওয়া হবে এবং অন্য তথ্যও আদায় করা হবে। শিলিগুড়িকে করিডর করে পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত দিয়ে নেপালে পাচার করা নতুন ঘটনা নয়। কখনও প্রাচীন মূর্তি, আবার কখনও বা মাদক পাচার করা হয়েছে এর আগে। হাতির দাঁতও এর আগে পাচার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : যুদ্ধক্ষেত্রে মাকে ফেলে শরণার্থী হয়ে দিদির সঙ্গে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে...
আরও পড়ুন : বোমাবৃষ্টির মধ্যে ইউক্রেনীয় তরুণী বেহালায় জ্যোৎস্না রাত্রির সুর তুলছেন, নেটিজেনদের চোখে জল
বহু বার এসএসবি-র জালে পাচারকারীদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। সংখ্যায় কমলেও পাচার পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। আর তাই এখন সদা সক্রিয় সীমান্তের প্রহরীরা। মাঝে লকডাউনের জেরে সীমান্ত পথ বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যও। অভিযোগ, ফের সীমান্ত খুলতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাচারকারীরা। আর তা বন্ধ করতে বাড়তি নজরদারি শুরু করেছে এসএসবি।