পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালন কলোনিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বাকি কেন্দ্রগুলির জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়েছে ও কিছুক্ষেত্রে টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। খুব দ্রুত বাকি পাঁচটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি পুরসভার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই কিছু স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে যারা এই কেন্দ্রগুলিতে কাজ করবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: এমনও হয়! নিজের হাতে ব্লেড দিয়ে নাড়ি কেটে সদ্যোজাত সন্তানকে ফেলে পালানোর চেষ্টা মায়ের
এই নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে উন্নতমানের এক্স-রে, ইসিজি সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। অ্যালোপ্যাথির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরাও এখানে থাকবেন। বাড়ির পাশেই প্রাথমিক চিকিৎসা, টিকাকরণের সুবিধা পেয়ে বালুরঘাটবাসীরা যথেষ্ট উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এতে জেলা সদর হাসপাতালে ভিড়ও কিছুটা কমবে বলে প্রশাসনের অনুমান।
এই বিষয়ে বালুরঘাটের পুরপ্রধান অশোক কুমার মিত্র জানান, পুর এলাকা জুড়েই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে আমরা সর্বোতভাবে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছি। বিভিন্ন প্রয়োজনে পুরসভা প্রত্যেকের পাশে দাঁড়িয়েছে। রোগীরাও এখান থেকে পরিষেবা পেয়ে খুশি হন। আগামীদিনে আশা করা হচ্ছে এই কেন্দ্রগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বাম আমলে বালুরঘাট পুরসভার সাহেব কাচারি ও নারায়ণপুর মোড়ে দু’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু হয়েছিল। পরবর্তীতে কুণ্ডু কলোনি এলাকাতেও একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা হয়। এই তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বর্তমানে সাফল্যের সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। গর্ভবতী মা, নবজাতক ও শিশুদের টিকাকরণ ছাড়াও, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস প্রভৃতি নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের চিকিৎসাও এখানে হয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এই নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ আছে।





