অধুনা ১০ নং জাতীয় সড়ক এই দার্জিলিং মোড়। এক দিক চলে যাচ্ছে বাগডোগরা, কলকাতা, বিহার, নেপাল। দ্বিতীয় দিকটি যাচ্ছে কার্শিয়ং, দার্জিলিং, মিরিকের দিকে। অন্য মুখ সেবক, সিকিম হয়ে না থুলা সীমান্ত, ডুয়ার্স হয়ে অসম, ভুটান পর্যন্ত। প্রতিদিন হাজারো গাড়ি চলে এই রাস্তা দিয়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ট্র্যাফিক সিগনালে। পর্যটক থেকে ব্যবসায়ী তো বটেই, সাধারণ মানুষকেও আটকে পড়তে হয় ট্র্যাফিক জটে। দার্জিলিং মোড় নিয়ে অনেক আন্দোলন, মিছিল হয়েছে। সমস্যা সেই তিমিরেই। যানজটের ফাঁসে শহর। যে শহরের গুরুত্ব দিন দিন বেড়ে চলেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার। প্রস্তাব, প্রতিশ্রুতিই সার। আর তা চায় না শহরবাসী। চায় এর সুষ্ঠু ও স্থায়ী সমাধান। তেমনটাই বলছেন শহরবাসী। সে উড়ালপুলই হোক, কিংবা ফোর লেনের রাস্তা।
advertisement
আরও পড়ুন : আপনার টয়েলেট কি কমোড? জানেন কি সেটা কোষ্ঠকাঠিন্যে কারণ হতে পারে
বালাসন সেতুর একটা অংশে ফাটল ধরার পর সমস্যাটা আরও তীব্র হয়েছে। বাম আমলে নৌকাঘাট দিয়ে সেতু তৈরি না করলে আজ পশ্চিমের অন্য জেলা, রাজ্য, দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তো শিলিগুড়ি। বলছেন সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। আর দার্জিলিং মোড়ের যানজট নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রকেই দুষেছেন তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। রাজ্যের পরিকল্পনা তৈরি। কেন্দ্র অনুমোদন দেয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। অন্যদিকে বিজেপির পালটা দাবি, দার্জিলিং মোড় নিয়ে কেন্দ্রের পরিকল্পনা তৈরি। সাংসদ রাজু বিস্তার প্রস্তাবে সায়ও মিলেছে। অর্থও অনুমোদন পেয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে। নির্বাচনী বিধির ফাঁসে প্রকল্পের শিলান্যাস হয়নি। দাবি বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের।
আরও পড়ুন : যে অসুখগুলি মহিলাদের জন্য বিপজ্জনক, জেনে নিয়ে সতর্কতা নিন এখনই
স্থানীয় বাসিন্দাদের মত, এই চাপানউতোরের মধ্যে যানজট থেকে দ্রুত মুক্ত হতে চায় শহর শিলিগুড়ি। মুক্ত হতে চায় মিথ্যে প্রতিশ্রুতি থেকেও।