আরও পড়ুন: আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ সাঙ্গ, শেষমেশ 'হৃদয়ের' কাছে 'প্রাক্তন' হলেন বাবুল সুপ্রিয়!
কোথাও লকডাউন তো আবার কোথাও কনটেইনমেন্ট জোন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শিলিগুড়িতেও পুলিশের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও বলেন, মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও। জেলা প্রশাসনও ঘোষণা করছে। পথে নেমেছে পুলিশও। কিন্তু হুঁশ ফিরছে না শহরবাসীর একটা বড় অংশের মধ্যে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের জায়গায়-জায়গায় করোনা রোগী, এই জেলার ২৪ অঞ্চল কনটেইনমেন্ট জোন!
বিধান মার্কেট বলুন বা সুভাষপল্লি বাজার, ছবিটা একই। হিলকার্ট রোড বা সেবক রোড ছবির কোন হেরফের নেই। মাস্কে ঢাকেনি নাক ও মুখ। টিকা হয়েছে মানে করোনা উধাও! দিব্ব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ। আবার অনেকের মাস্ক থাকলেও তা ঝুলছে হয় থুতনিতে, নয়তো বা গলাতে! সামনে দীপাবলী উৎসব। তার আগে শহরজুড়েই একই ছবি। মাস্কহীন শহর শিলিগুড়ি।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি পথের চা-দোকানে হঠাৎ মমতা, লক্ষ্মীবারে বড় চমক দেবেন মুখ্যমন্ত্রী!
জিজ্ঞেস করতেই পালটা জবাব আসছে, ভুলে গেছি, ফেলে এসছি, পরছি ইত্যাদি ইত্যাদি। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও সেই গা ছাড়া ভাব! মাস্ক পড়তে অনীহা কেন? উত্তর জানা নেই। আর এরই জেরে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে কোভিড। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় যেখানে একমাত্র হাতিয়ার সচেতনতা, সাবধানতা মেনে চলা। সেখানে চূড়ান্ত অসাবধানতার ছবি! বিধান মার্কেট ফল ও সবজি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক স্বপন কুণ্ডু জানান, প্রতিনিয়ত মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু সাবধানতা মানছে না সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীরা। কালী পুজার পর ফের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। শারোদৎসবের পর ধীরে ধীরে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ডে নতুন করে ছড়াচ্ছে করোনা। এই সময়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চললে বিপদ আসবে বলে জানান বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।