শিলিগুড়ি গার্লস স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী মৌপ্রিয়া পোদ্দার, মেঘা বারুইরা বলছিল, এই দিনটির জন্যেই অপেক্ষা করছিলাম। স্কুল খোলায় আমরা খুশি। আবার সকলে মিলে অফ লাইনে ক্লাস করব।
এদিন শিলিগুড়ি শহর ও গ্রামাঞ্চলের সব স্কুলেই দেখা গেল একই চিত্র। কোভিড বিধি মেনেই ২০ মাস পর খুললো স্কুল। প্রায় প্রতিটি স্কুলেই ছাত্র, ছাত্রীদের থার্মাল চেকিংয়ের পর হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার করিয়ে ঢুকতে হচ্ছে ক্লাস রুমে। মাস্ক মাস্ট। ক্লাস রুমে বেঞ্চে বসার ক্ষেত্রেই নয়া নিয়ম। কোনো স্কুলে একটি ভেঞ্চে একজন, পরের বেঞ্চে দু'জন আবার তারপরের বেঞ্চে একজন পড়ুয়া। আবার কোনও কোনও স্কুলে বেঞ্চপ্রতি ২জন করে পড়ুয়া।
advertisement
সেক্ষেত্রে কিছু কিছু স্কুলে বাড়ানো হয়েছে সেকশনের সংখ্যা। যেমনটা হয়েছে শিলিগুড়ি গার্লসে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা প্রত্যুহা বাগচী জানান, "কোভিড বিধি মেনেই যাবতীয় ক্লাস করানো হবে। পুরো নজরদারি চালানো হবে যাতে দূরত্ব বিধি মেনে চলে সকলে। এমনকী টিফিন বা পানীয় জলের বোতলের ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নজরদারি রাখা হবে।"
আরও পড়ুন-ভারত বন্ড ইটিএফ তাদের তৃতীয় কিস্তি লঞ্চ করতে চলেছে; জানুন বিশদে!
এদিন বিভিন্ন স্কুলে ছাত্র ও ছাত্রীদের হাতে কোথাও তুলে দেওয়া হচ্ছে পেন এবং চকোলেট। কোথাও আবার গোলাপ ফুল। মাস্কেরও ব্যবস্থা রেখেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।তবে ছাত্রীরা মাস্ক সহ অন্যান্য কোভিড বিধি মেনেই এসছে। কিছুটা আতঙ্ক রয়েছে চোকগে মুখে। আবার স্কুল খোলার আনন্দ। দুইয়েরই মিশেল! স্কুল খোলায় খুশি অভিভাবকেরাও।
আরও পড়ুন-কলকাতায় জাঁকিয়ে শীত! মনোরম আবহাওয়ার সুখবর নিয়ে হাজির হাওয়া অফিস
মান্টি চক্রবর্তী নামে এক অভিভাবিকা বলছিলেন, "খুব ভালো সিদ্ধান্ত। কোভিড প্রোটোকল মেনেই চলবে স্কুল, এতেই স্বস্তি। প্রথম দিনে সব স্কুলেই পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল লক্ষ্যণীয়।"
শিলিগুড়িতে এদিন ৮০ শতাংশ পড়ুয়া উপস্থিত ছিল বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, বাকিরাও শীঘ্রই যোগ দেবে অফলাইন ক্লাসে!