আরও পড়ুন: হাবভাব, চালচলনে গোল বেঁধে যায় প্রতিবেশীদের! অবাক করা সেই ৩ বঙ্গ-তনয়ার কাজও অবাক করছে বাসিন্দাদের
তিনি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে আসেন, বিনা পারিশ্রমিকে বাংলা পড়ান। তাঁর যুক্তি সোজা, “বাংলা এমন একটি বিষয়, যা শুধু মুখস্থ করে নম্বর পাওয়া যায় না। বোঝার আনন্দ আর ভাষার সৌন্দর্য যদি ছাত্রছাত্রীদের মনে ঢুকিয়ে দিতে পারি, সেটাই হবে আমার সবচেয়ে বড় সার্থকতা।”
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিলিগুড়ির ওই স্কুলটিতে পড়তে আসে বহু প্রান্তিক এলাকার ছাত্রছাত্রী। পরিবারের আয় সামান্য, অনেক সময় বই কেনাই কষ্টকর, সেখানে প্রাইভেট টিউশনের কথা ভাবা বিলাসিতা। এই বাস্তবতার মাঝেই নরেশবাবুর আগমন যেন আশার আলো। তাঁর পড়ানো শুধু পরীক্ষার প্রস্তুতিই নয়, তিনি শেখান কীভাবে ভাষার মাধ্যমে নিজের ভাব প্রকাশ করা যায়, সংস্কৃতিকে বোঝা যায়, এবং জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে ফেলা যায়।
ক্লাস শেষে ছাত্রছাত্রীদের মুখে হাসি, চোখে স্বস্তি। কেউ কেউ হয়তো জানেই না, এই শিক্ষক আর কোনও বেতন পান না, তাদের কাছে তিনি কেবল ‘নরেশ স্যার’, যিনি যত্ন করে পড়ান, ধৈর্য নিয়ে বোঝান, আর সবসময় পাশে থাকেন। অবসরের পর যেখানে অনেকেই কর্মজীবনের পরিশ্রম ঝেড়ে শান্ত জীবনে ঢুকে পড়েন, সেখানে নরেশ চন্দ্র বর্মণ প্রমাণ করেছেন, একজন প্রকৃত শিক্ষক কখনও অবসর নেন না। তাঁর জীবনের পাঠদানের এই অধ্যায় হয়তো শেষ হবে না, যতদিন না তিনি নিশ্চিত হন, তাঁর ছাত্রছাত্রীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছে, জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়েছে।