মূলত ডাবগ্রাম, ফুলবাড়ি, আমবাড়ি থেকে পিঠের পশরা নিয়ে হাজির হন মহিলারা। ১০ থেকে ১২ কেজি চালের গুঁড়ো, খেজুরের গুড় নিয়ে সোজা শিলিগুড়ি। শহরে যাদের পরিচিতি "পিঠে মাসি" হিসেবে। আজ তাঁরাই কনকনে ঠান্ডায় উনুনের সামনে বসে তৈরি করছেন ভাপা পিঠে, সঙ্গে আবার পাটিসাপটাও! বাড়ির ঢেকিতে আতপ চাল গুঁড়ো করা হয়।
তার পর শীতের হালকা রোদে চালের গুঁড়ো শুকিয়ে নেওয়ার পালা। সেই চালের গুঁড়োতে অল্প নুন, গুড় আর নারকেলের গুঁড়ো মিশিয়ে হাঁড়ির মাথায় সরাতে চাপিয়ে নেওয়া। তাতেই তৈরি হচ্ছে ভাপা পিঠে।
advertisement
আরও পড়ুন : এ বছর মকর সংক্রান্তি কবে পালিত হবে? জানুন এই পুণ্য তিথির মাহাত্ম্য
ভাপে তৈরি হওয়ায় এর নাম ভাপা পিঠে। খড়ির উনুনে আঁচ দিয়ে শুরু হয় পিঠে তৈরির পর্ব। ক্রেতারা এসে অর্ডার দিলেই হাতে হাতে মিলছে গরমাগরম ভাপা পিঠে। সব বয়সিদের কাছেই এখন অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার এই পিঠে। শিলিগুড়ির প্রায় প্রতিটি পাড়াতেই এখন মিলছে এই ভাপা পিঠে। যা বছর খানেক আগেও সব পাড়াতে মিলত না। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০-১২ কেজি চালের গুঁড়ো দিয়ে এক-এক জন বিক্রেতা পিঠে বিক্রি করছেন। দামও হাতের মুঠোয়। প্রতি পিস ৫ টাকা।
আরও পড়ুন : শীত মানেই আপনার পাতে রোজ মটরশুঁটির কচুরি? জানুন সুস্বাদু এই সব্জি বেশি খাওয়া কতটা বিপজ্জনক
আর তাই শীতের মরশুমে চাইনিজ বা দক্ষিণী ফাস্ট ফুড নয়, শিলিগুড়ির বাসিন্দারা ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের এই পিঠেপুলির দোকানে। তাঁদের কথায় " গোটা বছরের এই সময়টা ভাপা পিঠের জন্যই অপেক্ষা। কবে মিলবে! কবে মিলবে!" আর তাই শীত পড়তেই শহরবাসীর একটা বড় অংশ ভিড় জমায় "পিঠে মাসি"-র ফুড স্টলে। সামনেই পৌষ পার্বণ উৎসব। তার আগে শহরজুড়ে ম ম করছে পিঠের গন্ধ। চাহিদা মেটাতে বহু মিষ্টির দোকানেও মিলছে পাটিসাপটা, মালপোয়া!