এ বছর মকর সংক্রান্তি কবে পালিত হবে? জানুন এই পুণ্য তিথির মাহাত্ম্য

সামনেই মকর সংক্রান্তি৷ ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে এই দিনটির গুরুত্ব গভীর প্রাচীন কাল থেকেই৷

ভারতের নানা প্রান্তে বিভিন্ন নামে এই তিথি পালন ও উদযাপন করা হয়৷ অনেক অ‍ঞ্চলেই এই তিথিতে ঘুড়ি ওড়ানো হয়।

জ্যোতির্বিজ্ঞানের দিক থেকে এই সময় গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ এ সময় সূর্যের উত্তরায়ণ শুরু হয়৷ অর্থাৎ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান করে৷

উত্তরায়ণের প্রভাব পড়ে ঋতু পরিবর্তনের উপর৷ শীতের বিদায় লগ্নের পূর্বাভাস এই সময় থেকেই৷

তাছাড়া উত্তরায়ণে আবার উত্তর গোলার্ধে দিনের স্থায়িত্ব একটু একটু করে বাড়তে থাকে৷ দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত অবস্থা৷

জ্যোতিষশাস্ত্র বলে সূর্য এই পর্বে মকর রাশিতে প্রবেশ করে৷

বাংলায় মকর সংক্রান্তি পালনের অন্যতম অঙ্গ পিঠে পুলি এবং পায়েস৷ গঙ্গা এবং অন্যান্য বড় নদীর সঙ্গমস্থলে স্নান করেন পুণ্যার্থীরা।

বাংলা ক্যালেন্ডার তথা পঞ্জিকা অনুসারে এই সময় পৌষ মাস শেষ হয়ে মাঘ মাস শুরু হয়৷

পৌষের শেষ দিনটিকেই মকর সংক্রান্তি বলে পালন করা হয়৷

এ বছর কবে মকর সংক্রান্তি, তা নিয়ে দ্বিমত দেখা দিয়েছে৷ একটি মত বলছে, শনিবার, ১৪ জানুয়ারি রাত ৮ টা ২১ মিনিটে ধনুরাশি ছেড়ে মকর রাশিতে প্রবেশ করছে সূর্য৷ তাই সেদিনই মকর সংক্রান্তি৷

আবার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ বছর পৌষের শেষ দিন পড়েছে ১৫ জানুয়ারি৷ তাই সেদিনই মকর সংক্রান্তি বলে পালন করার বিধান দেওয়া হচ্ছে৷

কৃষিকাজের সঙ্গেও মকর সংক্রান্তির গভীর সম্পর্ক৷ এ সময় নতুন ফসল কৃষকের ঘরে ওঠে৷ পঞ্জাবে 'লোহড়ী', তামিলনাড়ুতে 'পোঙ্গল' এবং উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে এই তিথি পালিত হয় 'খিচড়ী' নামে৷