বুধবার সকালে প্রচারে বের হওয়ার মুখে তিনি খবর পান নির্বাচনী বুথে তাঁর সমর্থনে সাঁটানো ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। ওয়ার্ডে আরো কয়েকটি ফ্লেক্সও ছিঁড়ে ফেলা হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলেন তিনি। ঘটনার প্রতিবাদে সোজা অনুগামীদের নিয়ে শিলিগুড়ি থানায় পৌঁছন তিনি। সদলবলে থানার মধ্যেই অবস্থানে বসেন বহিষ্কৃত এই তৃণমূল নেতা বিকাশ সরকার। অবস্থানে বসতে না বসতেই পুলিশ বিকাশ সহ ২ জনকে আটক করে। কোভিডকালে বিনা অনুমতিতে থানায় জড়ো হয়ে ধর্নায় বসার অভিযোগে আটক করা হয় তাঁকে। এতেই উত্তেজনা ছড়ায়। থানায় ভিড় জমান বিকাশের অনুগামীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: NM আর AS, নতুন দুই নিশানা বাবুল সুপ্রিয়র! 'বিশ্বের বৃহত্তম দল'কেও কটাক্ষ
বিকাশ সরকারের অভিযোগ, "আমার ব্যানার, পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। শাসক দলেরই এই কাজ। তবে আমি মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কথা বলছি না। এভাবে আমার ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে মানুষের মন থেকে আমাকে মুছতে পারবে না। বিকাশ সরকার মানুষের অন্তরের মধ্যে আছে। আমি ৩৬ বছর ধরে মানুষের সেবা করে আসছি।"
আরও পড়ুন: বিপর্যয় ঘোষণা করে পিছনো হবে রাজ্যের পুর নিগমের ভোট? জোর সওয়াল বিকাশ রঞ্জনের
তাঁর অনুগামীদেরও দাবি, ''এভাবে আমাদের চাপে ফেলা যাবে না। ২৫ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলেই তার প্রমাণ মিলবে।'' প্রসঙ্গত তাঁর পাশে থাকায় ২৪ নং ওয়ার্ড তৃণমূল সভাপতিকেও বহিষ্কার করেছে দল।
এদিকে বিকাশ সরকারকে পুলিশের আটক করা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেন, "আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আর রাজ্যে অন্যত্রও তো নির্বাচন হচ্ছে। তৃণমূল কোথাও পোস্টার, ব্যানার ছেড়েনি।"