সুভাষপল্লির বাসিন্দা পারিজাত রেলে কর্মরত হলেও, গত ২০ বছর ধরে হিন্দুস্তানি ক্লাসিক্যাল ভায়োলিন চর্চা করে চলেছেন বিশিষ্ট গুরু পন্ডিত ইন্দ্রদীপ ঘোষের তত্ত্বাবধানে। তার নিষ্ঠা, অধ্যবসায় আর দক্ষতা এবার ফলপ্রসূ হল, দেশজুড়ে হাজার হাজার আবেদনকারীর মধ্যে প্রতিযোগিতা করে জয় করলেন তিনি কেন্দ্রের মনোযোগ ও বিচারকদের হৃদয়।
আরও পড়ুন: বর্ষায় বাড়ছে ‘মাছি’…? সারাদিন ভনভন আর ভনভন! তুড়িতে তাড়ান! এক ছিটে ছড়িয়ে দিন তেতো ‘দাওয়াই’!
advertisement
এই স্কলারশিপের আওতায় প্রতি বছর ৬০ হাজার টাকা করে মোট দু’বছর প্রশিক্ষণের জন্য প্রদান করা হয়। তবে শর্ত থাকে প্রতি ছয় মাস অন্তর গুরুর কাছ থেকে প্রশিক্ষণের অগ্রগতির রিপোর্ট কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। পারিজাত এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছিলেন ২০২৪ সালের শুরুতে।
দীর্ঘ দৌড়ঝাঁপ ও কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর একমাস আগে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পারেন নিজের সাফল্যের কথা। কয়েকদিন আগেই পোস্টের মাধ্যমে তার হাতে এসে পৌঁছেছে সেই কাঙ্খিত সার্টিফিকেট।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ভায়োলিন বিভাগে এ বছর দেশে মোট চারজন এই স্কলারশিপ পেয়েছেন, যার মধ্যে একমাত্র পারিজাতই এসেছেন পশ্চিমবঙ্গ তথা উত্তরবঙ্গ থেকে। আরও চমকপ্রদ তথ্য হল, পারিজাত এমন একটি ভায়োলিন বাজান যা উত্তরবঙ্গে আর কেউ বাজান না, ১৩ তারবিশিষ্ট ভায়োলিন, যেখানে সাধারণত চার বা পাঁচ তারের ভায়োলিনই বেশি প্রচলিত।
পারিজাতের এই সাফল্যে গর্বিত শিলিগুড়ি। তার কথায়, “যারা কর্মজীবনের মধ্যেও নিজের ইচ্ছেকে বাঁচিয়ে রাখতে চান, তাদের বলব, স্বপ্নের পথে লড়াই থাকবে, কিন্তু হার মানলে চলবে না। সাফল্য একদিন আসবেই।”
একদিকে সঙ্গীতের প্রতি অদম্য ভালোবাসা, অন্যদিকে কর্মজীবনের চাপে থেকেও নিজের সাধনায় অটুট থাকা, পারিজাত ভট্টাচার্য আজ নতুন প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠেছেন এক অনুপ্রেরণা।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য