তার প্রতিভা, সাহসিকতা এবং দীর্ঘদিনের কঠিন পরিশ্রম তার ঝুলিতে এনে দিয়েছে সোনার পালক। সুরাতে অনুষ্ঠিত ২০ তম জাতীয় তাইকোন্ডো চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদক জয় করে সকলকে চমকে দিয়েছে শ্রেয়া। নিজস্ব প্যাটার্ন ও নিজস্ব স্প্যারিং বিভাগে যথাক্রমে সোনার পদক জিতেছে শ্রেয়া। তার সাফল্যে খুশি পরিবার-সহ সকলে।
advertisement
বর্তমানে সে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তবে ছোট থেকেই তার খেলাধূলার প্রতি তাঁর যে ভালবাসা ছিল । সেই ভালবাসার টানে আজ শ্রেয়া এই জায়গায়। এর আগে ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের হয়ে দু’বার সোনা জিতেছেন শিলিগুড়ির শ্রেয়া বসাক। এমনকি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান তাইকোন্ডো প্রতিযোগিতায়ও সোনা জেতেন শ্রেয়া। খেলার সুযোগ এলে কোনওভাবেই হাতছাড়া করতে চায় না সে। এই প্রতিযোগিতায় অবশ্য নিজে যেমন খেলেছে তেমনি প্রথমবার জাতীয় স্তরে রেফারির দায়িত্ব সামলেছে শ্রেয়া। তার তাইকোন্ডোর প্রতি অগাধ ভালবাসা তাকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তার বিশ্বাস।
এই প্রসঙ্গে শ্রেয়া বলেন, ‘তাইকোন্ডো আমার জীবনকে সম্পূর্ন করে। এই স্পোর্টস আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে । আমার পড়াশোনার পাশাপাশি আগামীদিনেও দেশের হয়ে খেলে যাবো। সোনা জেতা বা না জেতাটা বড় কথা নয়, পারফেকশনটা আমার কাছে ভীষণ জরুরি। প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখছি আর নিজেকে ডেভলপ করছি। এরপর ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ আমার লক্ষ্য। কিভাবে আরও ভাল জায়গায় নিজেকে নিয়ে যাওয়া যায় সেই চেষ্টাই করছি।’ শ্রেয়া তার নিজের সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দেন তার কোচকে। মেয়ের সাফল্যের সবথেকে বেশি খুশি তার বাবা-মা। মেয়ে আরও ভাল খেলুক এটাই তারা সবসময় চেয়ে এসেছে । বাংলার ক্রীড়ামহলের প্রত্যাশাও যেন সেটাই।
অনির্বাণ রায়