স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে জ্যোৎস্নাময়ী স্কুলের সামনে ওই মহিলা ঘোরাফেরা করছিল। প্রথমে জ্যোৎস্নাময়ীর তিন পড়ুয়ার সঙ্গে পরিচয় গড়ে তোলে সে। পরে সেই তিনজনের মাধ্যমেই দলে যোগ দেয় ‘শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুল’-এর আরও একটি মেয়ে। অভিযোগ, চারজনকে নিয়েই শহর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ছক কষা হয়।
মঙ্গলবার তাদের ট্রেনে তোলার প্রস্তুতি চলাকালীনই সন্দেহ দানা বাঁধে এলাকায় উপস্থিত মানুষদের মনে। খবর যায় শিলিগুড়ি থানায়। দ্রুত পৌঁছে পুলিশ প্ল্যাটফর্ম থেকেই চার নাবালিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানেই পুলিশের শিশুকল্যাণ দফতর ও সংশ্লিষ্ট কর্তাদের উপস্থিতিতে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। নাবালিকারা জানায়, টাকার আশ্বাসেই তারা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল।
advertisement
দার্জিলিং ডিস্ট্রিক্ট লিগাল এইড ফোরামের সভাপতি অমিত সরকারের বক্তব্য, ” মানবপাচার এখন শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের এক বড় সমস্যা। শুধু উদ্ধার করলেই হবে না, গোড়া থেকে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন। আমরা আগামিদিনে আরও বেশি ক্যাম্প ও প্রচার চালাব।”
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার নেপথ্যে থাকা ওই মহিলাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধে মানবপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মামলা রুজুর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পুলিশের অনুমান, তদন্তে উঠে আসতে পারে আরও বড় কোনও চক্রের যোগসূত্র।





