সিপিএম ছেড়ে আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েই টিকিট পেলেন শালিনী ডালমিয়া। লড়বেন ৮ নং ওয়ার্ড থেকে। তবে মেয়র পদপ্রার্থী কে তা জানায়নি গেরুয়া শিবির। যদিও দলীয় সূত্রের খবর, শঙ্করকে সামনে রেখেই লড়বে তারা। সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন,"যারা পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী, শিলিগুড়ির উন্নয়নের বিরোধী, তাদের সঙ্গে আমাদের লড়াই। যাদের আগে ক্ষমতায় দেখেছে এই শহরবাসী, যারা পরীক্ষিত এবং ব্যর্থ হয়েছে, তাদের সরিয়ে নতুনের হাতে শিলিগুড়ি তুলে দিতে চাই। আর কলকাতার সঙ্গে শিলিগুড়িকে তুলনা করলে চলবে না। এখানকার ভোটাররা অনেক সচেতন। কলকাতা পুরভোটের মতো সন্ত্রাস এখানে করলে তা তৃণমূলের পক্ষে পলিটিক্যাল স্যুইসাইড হবে।" সেইসঙ্গে যারা বিজেপির টিকিট পাননি, তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, "ওঁরা দলের সম্পদ, সংগঠনে প্রয়োজন তাঁদের।"
advertisement
আরও পড়ুন - চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রম! বাতিল মোদির বিদেশ সফর
শঙ্কর ঘোষ বলেন, "এখন আমাদের লক্ষ্য সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে পুরবোর্ড গঠন। তারপর ঠিক করা হবে কে কোন পদ পাবেন। আমি একজন দলের কার্যকর্তা। দল আমাকে দাঁড়াতে বলেছে। বাম-কংগ্রেসের আর কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাই বামেদের কে মুখ হল, তা আমাদের কাছে বড় বিষয় নয়।"
এদিকে টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভ বিজেপি কার্যালয়ে। বিক্ষোভ দলের সাংসদ রাজু বিস্তার সামনে। বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী প্রদীপ চৌধুরী। ২ নং ওয়ার্ডে তাঁকে প্রার্থী করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি প্রকাশ্যে।
আরও পড়ুন - দিঘায় সামুদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে পরপর মৃত্যু! উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের
এই প্রসঙ্গে শঙ্কর ঘোষের প্রতিক্রিয়া, "৪৭টি ওয়ার্ড। প্রার্থী হওয়ার জন্যে ৪০০ থেকে ৪৫০ জনের বেশী নাম এসেছিল। তাদের মধ্যে অনেকে যোগ্য কার্যকর্তা রয়েছে। অনেকের পক্ষে সেই প্রত্যাশা পূরণ না হলে সাময়িক ক্ষোভ হয়। এটাকে বড় করে দেখছি না।" পালটা প্রতিক্রিয়া শঙ্কর ঘোষের।