আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়া আর উত্তরবঙ্গে দলই ছাড়লেন দাপুটে নেতা
দল এবং বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দের চাপ বাড়তে থাকে অশোকের ওপর। অবশেষে সিদ্ধান্ত, তিনি এবারেও লড়ছেন এবং সেই ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই। ২০১৫- এ এই ওয়ার্ড থেকেই জিতে মেয়র হয়েছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। কেন এই সিদ্ধান্ত? অশোকের জবাব, 'ব্যক্তির চাইতে দলের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ।' কতটা চ্যালেঞ্জিং? তিনি জানান, ' যে কোনও নির্বাচনই চ্যালেঞ্জের।'' তিনি এও জানান, নিজের এবং বামফ্রন্টের জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। আবার সেই একদা 'শিষ্য' শঙ্কর ঘোষ বিজেপির সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থী। এই প্রসঙ্গে অবশ্য তাঁর জবাব, 'অন্যেরাও দাঁড়াবে। আমরাও দাঁড়াব।'
advertisement
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হলেও বিজেপি সূত্রে খবর, এবারে প্রথমবার শিলিগুড়ি পুরসভা দখলে সিপিএম ছেড়ে আসা শঙ্করই মেয়র পদে দলের মুখ। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসকে তিন নম্বরে নামিয়ে বিধায়ক হয়েছেন শঙ্কর৷ বিধানসভায় ওয়ার্ড ভিত্তিক ভাল ফল করেছে গেরুয়া শিবির। ৪৭টির মধ্যে ৩৬টিতে এগিয়ে তারা। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ৬টির মধ্যে ৫ জন তাদের দলের বিধায়ক। লাগোয়া ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতেও পদ্ম ফুটেছে। একে হাতিয়ার করেই পুরসভা জয় করতে চান শঙ্কর। আরও উন্নত শিলিগুড়ি গড়াই তাঁর লক্ষ্য। কোনও ব্যক্তি নয়, প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধেই তাঁর লড়াই। সে লড়াইতে অবশ্য বাম-কংগ্রেসকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শঙ্কর। তাঁর কথায়, মূল লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে মেয়র পদপ্রার্থী নিয়ে কিছু বলতে নারাজ শঙ্করের দাবি, '' আমি একজন দলের কর্মী। দল যা দায়িত্ব দেবে, সেইমতো চলব।''
আগামিকাল বুধবার দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আসছে শিলিগুড়িতে। বৈঠকের পরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে। শঙ্কর সম্ভবত ২৪ নং ওয়ার্ড থেকেই লড়বেন। সিপিএমের টিকিটে ২০১৫-তে এই ওয়ার্ড থেকে জিতেই মেয়র পারিষদ হয়েছিলেন। সবমিলিয়ে বাইশের শিলিগুড়ি পুরভোটের দিকে তাকিয়ে রাজ্য। যার গুরুত্ব কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে গুরু-শিষ্যের দ্বৈরথ!