তবে একুশের লড়াই শেষে সাংগঠনিকভাবে বিজেপি অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে। আর তৃণমূল রাজ্যে পরিবর্তনের পরও শিলিগুড়ি পুরভোট দখল করতে পারেনি। গোটা রাজ্যে ঘাসফুলের দাপট যেখানে অটুট। সেখানে দার্জিলিং জেলায় এসে পাহাড় থেকে সমতলে থমকে যায় সেই দৌড়। একমাত্র মিরিক পুরসভা তৃণমূলের দখলে। আর তাই এ বারে তৃণমূলের টার্গেট শিলিগুড়ি পুরসভা। বিজেপিও জয়ের ধারা ধরে রাখতে চায়। বামেরা চাইছে এবারেও নিজেদের দখলে রাখতে।
advertisement
আরও পড়ুন: অরুণাচলের জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল এই বাঁদর, ভারতে আরও এক অদ্ভুত প্রাণীর খোঁজ
এ বারে ৪৭ আসন বিশিষ্ট শিলিগুড়ি পুরসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকট ওয়ার্ডে জয়ের পথে কাঁটা দলেরই বিক্ষুব্ধরাই। তৃণমূল এবং বিজেপি দুই শিবিরের কাছে যা বড় চিন্তার। তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে সরাসরি ভোটযুদ্ধে নেমেছেন চার বিক্ষুব্ধ নেতা-নেত্রী নির্দল প্রতীকে। পরবর্তীতে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। অন্যদিকে, পদ্ম প্রতীক না পেয়ে নির্দল হয়ে লড়ছেন বেশ কয়েকজন। তার মধ্যে ১, ৩৯ এবং ২৪ নং ওয়ার্ড তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জের। যদিও গত পুরভোটে এই তিন ওয়ার্ডের একটিও তাদের দখলে ছিল না। বিজেপির চিন্তা ৫ এবং ৩৭ নং ওয়ার্ড। যদিও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল এবং বিজেপি।
আরও পড়ুন: সারাদিনই তুঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনা! বিকেল ৫ টা অবধি ভোট পড়ল ৫৭.৭৯%
তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেব বলেন, ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না। তৃণমূল এককভাবেই বোর্ড দখল করবে। বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষও একে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, এসব নিয়ে ভাবছি না। এ বার শিলিগুড়ি পুরবোর্ড গঠনই লক্ষ্য আমাদের। অন্যদিকে, বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা বিকাশ সরকার এ বারে নির্দল হয়ে লড়ছেন ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। তিনিই নির্দলদের মধ্যে হেভিওয়েট। তিনি জানান, ওয়ার্ডের লোকেরাই আমার মুখ। এ বারে ওয়ার্ডে জেতার ব্যাপারেও আশাবাদী৷ সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের কথায়, নির্দল প্রার্থীরা দাঁড়ানোয় বড় প্রভাব পড়বে পুরভোটে। যার ফায়দা পাবে বাম এবং কংগ্রেস।
Partha Sarkar