বর্তমানে সে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তবে ছোট থেকেই তার খেলাধুলোর প্রতি ভালোবাসা ছিল । সেই ভালোবাসার টানে আজ শ্রেয়া এই জায়গায়। এর আগে ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের হয়ে দু’বার সোনা জিতেছেন শিলিগুড়ির শ্রেয়া বসাক। এমনকি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান তায়কোন্ডো প্রতিযোগিতায়ও সোনা জেতেন শ্রেয়া। খেলার সুযোগ এলে কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চায় না সে। এই প্রতিযোগিতায় অবশ্য নিজে যেমন খেলেছে এমনি রেফারির দায়িত্ব সামলেছে শ্রেয়া। তার তায়কোন্ডোর প্রতি অগাধ ভালোবাসা তাকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তার বিশ্বাস।
advertisement
এই প্রসঙ্গে শ্রেয়া বলেন, “তায়কোন্ডো আমার জীবনকে সম্পূর্ন করে। এই স্পোর্টস আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমার পড়াশোনার পাশাপাশি আগামীদিনেও দেশের হয়ে খেলে যাবো। সোনা জেতা বা না জেতাটা বড় কথা নয়, পারফেকশনটা আমার কাছে ভীষণ জরুরি। প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখছি আর নিজেকে ডেভলপ করছি। এরপর ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ আমার লক্ষ্য। কীভাবে আরও ভালো জায়গায় নিজেকে নিয়ে যাওয়া যায় সেই চেষ্টাই করছি।’ শ্রেয়া তার নিজের সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দেন তার কোচকে। মেয়ের সাফল্যের সবথেকে বেশি খুশি তার বাবা-মা। মেয়ে আরও ভালো খেলুক এটাই তারা সবসময় চেয়ে এসেছে। বাংলার ক্রীড়ামহলের প্রত্যাশাও যেন সেটাই।
অনির্বাণ রায়