৬ দিনের মাথায় এই জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলো। পণ্যবাহী লরিও চলাচল করা শুরু হয়েছে। ৫৫ নং জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাপ বাড়ে রোহিণী রোড এবং পাঙখাবাড়ি রোডের উপর। আজ বিকেল থেকে যান চলাচলের উপযোগী করা হয় জাতীয় সড়ক। কাল থেকে পুরোদস্তুর গাড়ি ওঠা নামা করতে পারবে বলে পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
advertisement
জাতীয় সড়কে ধস নামায় অল্পের জন্যে রক্ষে পায় টয়ট্রেন লাইন। তবে ১৯ অক্টোবর থেকে এনজেপি ও দার্জিলিংয়ের মধ্যে টয়ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। কেননা রেললাইনের গা ঘেঁষে জাতীয় সড়ক ধসে যায়। ট্রেন চলানো সম্ভব নয়। ট্যুরিস্ট স্পেশাল টয়ট্রেন পরিষেবা অবশ্য স্বাভাবিক রয়েছে। এনজেপি ও শিলিগুড়ির মধ্যে টয়ট্রেন পরিষেবা কবে স্বাভাবিক হবে তা এখোনও স্পষ্ট নয়। জাতীয় সড়ক সংস্কার হওয়ায় এলাকা পরিদর্শনে যাবেন রেলের পদস্থ ইঞ্জিনিয়ররা। তার পরে পর্যালোচনার পরে ঠিক হবে।
আরও পড়ুন- খাবারের খোঁজে রাত থেকে মালবাজারের গ্রামে-চা বাগানে তাণ্ডব হাতির দলের!
অন্যদিকে ১০ নং জাতীয় সড়ক বন্ধ রয়েছে। ধস বিধ্বস্ত বাংলা-সিকিম লাইফ লাইন। বিরিকধায় উড়ে গিয়েছে সড়ক। ১০ নং জাতীয় সড়ক ধসে বিধ্বস্ত। এর জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সিকিম। বিকল্প গরুবাগান, লাভা রুট অথবা ঘুম, জোরবাংলো, পেশক হয়ে চলছে গাড়ি। এতে সময় যেমন বেশি লাগছে, ভাড়াও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত! বিকল্প সড়ক তৈরির প্রস্তাব হয়েছে। কেন্দ্রকে প্রস্তাব সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর। আজ শিলিগুড়ির লিউসিপোখরিতে পুজো দিতে এসে একথা বলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস গোলে। তাঁর দাবি, কালিঝোরা থেকে বিকল্প পথ তৈরির প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িকে দেওয়া হয়েছে। এতে সময়ও কম লাগবে বলে তাঁর দাবি।