প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, সকাল থেকেই এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছিল, আর তার পরেই হঠাৎ পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ে বিশাল পাথর। মুহূর্তের মধ্যেই সড়ক ঢেকে যায় ধ্বংসস্তূপে। ধসে কোনও হতাহতের খবর না থাকলেও, ধসের ফলে আটকে পড়েন বহু যাত্রী ও পর্যটক।
শিলিগুড়ির দিকে যাত্রা করছিলেন দার্জিলিং থেকে আসা অমৃতা সাহা। তিনি বলেন, “গাড়ি হঠাৎ থেমে গেল। সবাই নেমে পড়ি। সামনেই ধস। চারপাশে আতঙ্ক। আমরা এখনও রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি।”
advertisement
এই রাস্তাটি শুধু যাত্রী নয়, সিকিম ও উত্তরবঙ্গের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পরিবহণের প্রধান পথ। ফলে পণ্য পরিবহণও ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ধস সরাতে ইতিমধ্যেই প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধসের মাত্রা এতটাই বেশি যে পুরোপুরি পরিষ্কার করতে সময় লাগবে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিকল্প রুট হিসেবে কালিম্পং-গরুবাথান-মালবাজার রুট ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে সেসব রাস্তাও অতিবর্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। স্থানীয়দের মতে, এই অঞ্চলে বার বার ধস নামার নেপথ্যে শুধু বর্ষা নয়, অপরিকল্পিত কাটা-পাহাড়, অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাও অন্যতম কারণ। পরিবেশবিদদের প্রশ্ন, এই গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ের রক্ষণাবেক্ষণে কি যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?
অনেকেই বলছেন, শুধু এটি একটি ধস নয়, এটা বড় ধরনের সতর্কবার্তা। এমন বিপর্যয় আমাদের মনে করিয়ে দেয়, উন্নয়নের পাশাপাশি প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখাটাও জরুরি। আপাতত ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে রাস্তা খুলে দেওয়াই মূল লক্ষ্য, তবে ভবিষ্যতের জন্য চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।






