বিশেষ করে উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে এই শুটকি মাছের চাহিদা প্রচুর। সেখানেই বিক্রি হচ্ছে মালদহে উৎপাদিত এই শুটকি। পুরাতন মালদহ ব্লকের যাত্রাডাঙ্গা পঞ্চায়েতের বলদাহুরা গ্রামের কয়েকটি পরিবার এই শুটকি মাছ তৈরির কাজ শুরু করেছেন গত কয়েক বছর ধরে। মাত্র ছয় মাস শুটকি তৈরি করে সারা বছরের উপার্জন সেরে ফেলছেন পরিবারগুলি। বছরের বাকি ছয় মাস অন্য কাজ করে আরও বেশি রোজগার করার পথ বেছে নিয়েছেন দিলীপ চৌধুরীর মত বেশ কয়েকটি মৎস্যজীবীর পরিবার। দিলীপ চৌধুরী বলেন, “প্রায় ২০ বছর ধরে এই শুটকি তৈরি করছি। নদীর বিল থেকে ছোট ছোট মাছ সংগ্রহ করছি সেগুলিকে বাড়িতে শুকাচ্ছি। তারপর সেগুলি এখান থেকে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে। এখন আর বাইরে কাজ করতে যেতে হচ্ছে না।”
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রেনের কনফার্ম টিকিট পাচ্ছেন না? ১৬ জনপ্রিয় ট্রেনের কোচ বাড়াল রেল! এখনই জানুন
বলদাহুরা গ্রামে অধিকাংশ বাসিন্দারা একসময় ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন। কিন্তু গত এক দশক আগে ওই গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা দিলীপ চৌধুরীর হাত ধরেই শুরু হয়েছিল শুটকি মাছের চাষ। ধীরে ধীরে এই শুটকি উৎপাদনে আগ্রহ দেখিয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার। ফলে শুটকি চাষ করে মাসে মোটা টাকা উপার্জন করছেন বলদাহুরা গ্রামের প্রায় তিন চারটি পরিবার।
আরও পড়ুন: ঝপ করে নামল আরও ২ ডিগ্রি, দাঁতে দাঁত লেগে যাওয়া ঠান্ডা বাংলার ৫ জেলায়! আবহাওয়ার বড় খবর
নভেম্বর থেকে শুরু হয় শুটকি তৈরি। স্থানীয় নদী বিল থেকে পুঁটি, চিংড়ি, চেলা, বেলে, রাইখোর নদীয়ালী ছোট মাছ সংগ্রহ করে। তারপর মাছগুলি কাঁটাই বাছাই করে রোদে শুকাতে দেয়। প্রায় তিন দিন শুকানো হয়। এরপর সেই মাছগুলিতেই পরিমাণ মতো হলুদ, লবণ মাখিয়ে অতিরিক্ত আরও একদিন রোদে শুকানো হয়। এরপর পাইকারেরা বস্তায় মজুত করে সেই শুটকিগুলি ভিন রাজ্যে নিয়ে যান। বলরাম চৌধুরী বলেন, “১০ থেকে ১২ হাজার টাকা কুইন্টাল দরে বিক্রি হচ্ছে। বাবার সঙ্গে শুটকি মাছ তৈরি করছে। ভাল রোজকার হচ্ছে।”
১০ থেকে ১২ হাজার টাকা কুইন্টাল দরে বিক্রি হচ্ছে এই সমস্ত মিষ্টি জলের শুটকি মাছ। মার্চ মাস পর্যন্ত বিক্রি হবে শিলিগুড়ি, আসাম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে।
হরষিত সিংহ