এই হড়পা বানে ওই সংস্থার স্টোর রুম, গাড়ি-সহ সমস্ত জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে সবমিলিয়ে সংস্থার প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেল প্রকল্পের নির্মাণের কাজে এই সংস্থাটি কাজ করছে। তবে সংস্থার প্ল্যান্টটি সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করার যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, তাতে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে সিকিমের সর্বনাশ, বাতিল পর্যটন! কী বলছেন ব্যবসায়ীরা?
ওই সংস্থার ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার দীপক কুমার বলেন, ” আমাদের ডাম্পার পুরো বেসিন প্ল্যান্ট-সহ সমস্ত কিছুই তিস্তার জলে ভেসে গিয়েছে। ৪ তারিখ রাতে যখন প্রশাসনের তরফে সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের কর্মীদের আমরা ঘর থেকে রাস্তায় আনতে সক্ষম হয়েছিলাম। ফলে কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে গোটা প্ল্যান্ট তিস্তায় বয়ে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন: ভুল করে চুইংগাম গিলে ফেলেছেন? এতে পেটে কী হতে পারে জেনে রাখা খুব জরুরি
তিনি আরও বলেন, ” কালিম্পংয়ের ভালুখোপ অঞ্চলে রেল প্রকল্পের কাজ এখানে হত। যা এখন কিছুই নেই। এখন আপাতত জাতীয় সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে। সমস্ত কিছু স্বাভাবিক হলে আমাদের উপর মহল থেকে আদেশ দেওয়া হলে সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করব।” অন্যদিকে, জানা গিয়েছে, “শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং বা গ্যাংটক থেকে কালিগঞ্জের সরাসরি যোগাযোগ করছে না কেননা গেইল খোলা থেকে তিস্তা বাজারের মধ্যে কয়েক কিলোমিটার রাস্তার কোনও অস্তিত্ব নেই।
তবে, আস্তে আস্তে প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে সিকিমের লাইফ লাইনের। সিকিমের সেনাবাহিনীর সহায়তায় ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা মেরামতির কাজ করে কালিম্পং এর সঙ্গে পশ্চিম এবং দক্ষিণ সিকিমের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে।
অনির্বাণ রায়