গোটা এই বিষয় নিয়ে কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার কৃষ্ণ গোপাল মীনা জানান, “একাধিক জায়গায় বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে জেলায়। আর এই নির্মাণ গুলি সাধারণ মানুষের পক্ষে কিংবা ট্রাফিকের পক্ষে একেবারেই সুবিধের নয়। ফলে এই বেআইনি নির্মাণ গুলিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন ভেঙে দেওয়া হয়। এছাড়াও বেশ কিছু ফুটপাথ ব্যবসায়ীকে রাস্তা দখল না করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনেও জেলা পুলিশ এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে। শুধুমাত্র কোচবিহার সদর শহর নয়। সদর শহরের পাশাপাশি অন্যান্য মহকুমা! শহরগুলিতেও এই একই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
advertisement
তবে আচমকাই এভাবে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়া। এবং ফুটপাথ দখল মুক্ত করার কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন একাধিক ফুটপাথ ব্যবসায়ী। কোচবিহারের এক ফুটপাত ব্যবসায়ী সঞ্জীব মালাকার জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই ব্যবসা করেই সংসার চলে তাঁদের। একটা সময় তিনি একাই করতেন। বর্তমানে তাঁর ভাই তাঁর সঙ্গেই দোকান করেন। যদি এভাবে তাঁদের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। কিংবা তাঁদের ব্যবসা করতে না দেওয়া হয়। তবে চরম বিপাকে পড়তে হবে তাঁদেরকে।” অন্যদিকে কোচবিহারের এক ফুটপাথের ফাস্টফুড বিক্রেতা সায়ক সেন জানান, “ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হলে রীতিমতো বিপাকে পড়বেন তিনি। চাকরি না পেয়ে বাধ্য হয়েই এই ফাস্টফুডের দোকান খুলেছিলেন তিনি।”
বর্তমান সময়ে একাধিক এলাকায় ইতিমধ্যেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অবৈধ নির্মাণ। বেশকিছু ফুটপাতের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু দোকানকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য দোকানের মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত এই কারণেই বর্তমান সময়ে জেলার বহু ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
Sarthak Pandit