ব্লক ও জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতি প্রকাশ্যে আশায় ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের। রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পো অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: বিরাট খবর, রাজ্যে আরও ৭ নতুন জেলা! ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
জানা গিয়েছে, কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি, ওই একইব্লকে বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ১৭ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ এবং ২০২১-২১ অর্থবছরে এইদুই গ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের কাছে অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে জেলা প্রশাসন। প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় গত ২০ মে এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের দুজন গ্রাম রোজকার সহায়ককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে প্রশাসন। এছাড়াও বরখাস্ত করা হয় রতুয়া-১ ব্লকের তৎকালীন টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কেউ।
advertisement
আরও পড়ুন: 'কেন ওঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল না রাজ্য?' হাই কোর্টের নির্দেশে মহাচাপে অনুব্রত মণ্ডল!
পঞ্চায়েতের তিনজন করে মোট ছয়জন কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের প্রশাসনের। কাজ না করেই একাধিক প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই অর্থ তছরূপের ঘটনায় আরও কারা জড়িত, পুলিশি তদন্তে তা প্রকাশ্যে আসবে বলে আশা প্রশাসনের। মালদহ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের এই দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে জেলার একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযোগের তদন্তের কাজ চলছে। এর পাশাপাশি পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশি তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, প্রশাসন অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে। দুর্নীতি করে থাকলে সে যে কেউ হোন না কেন, আইনগতভাবে শাস্তি পাবেন। অর্থ তছরুপের ঘটনায় দল কাউকে রেয়াত করবে না। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, মালদহের অধিকাংশ পঞ্চায়েত দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত শাসকদল, অধিকাংশ ব্লকেই শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে তৎপর নয়। রতুয়ার বিডিও আইনি পদক্ষেপ নিয়ে সঠিক ভূমিকা নিয়েছেন বলে দাবি জেলা বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্তের।