কোভিড সতর্কতা অবলম্বন করে ও স্থানীয় প্রশাসনিক নির্দেশ অনুযায়ী চলছে নিয়মিত স্যানিটাইজেশনএবং মাস্ক পরার রীতি।অসম-বাংলা-ভুটান সীমান্তের বহুল সংখ্যক মানুষ আসেন প্রতিদিন শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের এই সৎসঙ্গ আশ্রমে। সীমান্তের ধর্মীয় এই পীঠস্থানে মিলিত হন অসম বাংলার বহু ভক্তবৃন্দ। আবেগের স্থান হয়ে ওঠে এই আশ্রম। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন শান্তি লাভের আশায়।
advertisement
আরও পড়ুন : ভিনগ্রহী থেকে মমি-পিরামিড হাজির সবই, বিনোদনের নতুন ঠিকানা প্রোফেসর শঙ্কু পার্ক
আশ্রমে রয়েছে চ্যারিটেবল ক্লিনিক ৷ প্রতি শনিবার এবং রবিবার দাতব্য চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা করা হয়৷ দুঃস্থ ছাত্র ছাত্রীদের সহায়তার জন্য রয়েছে কোচিং সেন্টার ৷ এ ছাড়াও সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়েই সাধারণ মানুষের আবেগের ভরকেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছে এই আশ্রম।করোনাকালে আশ্রমে ভক্তের আগমন ও আচার অনুষ্ঠান-সহ দৈনিক প্রার্থনায় আশ্রম প্রাঙ্গণে বিধিনিষেধ থাকলেও প্রতিনিয়ত চলে অনলাইনে বিভিন্ন উপাসনামূলক অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন : কেরলে ২৫ ফুট গভীর গর্তে নেমে কাজ করার সময় মাটি ধসে নিহত ৪ বাঙালি তরুণ
আরও পড়ুন : এখনও চুল থেকে যেতেই চাইছে না দোলের রং? এই ঘরোয়া টোটকাগুলি ব্যবহার করে দেখুন তো
জানা যায়, উত্তরবঙ্গের সব থেকে পুরনো এই আশ্রম ৷ ২০০২ সালে তৎকালীন আচার্যদেব শ্রীশ্রী দাদার ঐশিক প্রেরণায় এবং স্বর্গীয় কেশব চন্দ্র দাসের তত্বাবধানে বহু পুরোনো এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর ২০০৯ সালে এই মন্দিরের নব নির্মিত ভবনের দ্বারোদঘাটন হয় । আশ্রমের ভারপ্রাপ্ত কর্মী ড: দেবীপ্রসাদ দাস জানান, ‘‘ শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আদর্শে মানুষের সঠিক জীবন গঠনের বার্তা পৌছে দেওয়াই এই আশ্রমের মুল লক্ষ্য৷ দীর্ঘ দিন পর এই মন্দিরের দ্বার খুলে যাওয়ায় রীতিমত উচ্ছ্বসিত সবাই, ভক্তবৃন্দের আগমন ঘটতে শুরু হয়েছে আশ্রমে। কোভিড বিধি মেনেই এখন চলবে আশ্রমের সমস্ত কর্মসূচি।দোল উৎসবের দিন থেকেই ভক্ত বৃন্দের আগমনে ফের আনন্দের ঢেউ বইতে শুরু করেছে এই আশ্রমে।
( প্রতিবেদন : দীপেন্দ্রনাথ লাহিড়ী)