কেমন অবস্থায় রয়েছে এখানকার রোপওয়ের ব্যবস্থা? পর্যটকদের জন্যই বা কতটা সুরক্ষিত? তা জানতে চান ইনচার্জের কাছে। পরিকাঠামো দেখে খুশী টিম, দাবী রোপওয়ের ইনচার্জ জাকির হুসেনের। তিনি জানান, দার্জিলিংয়ে নিয়মিত সংস্কার করা হয় রোপওয়ে। প্রতি সপ্তাহে, প্রতি মাসে এবং বছরে একবার বিশেষভাবে সংস্কার করা হয়ে থাকে বলেও দাবি তাঁর।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ভেসে যাবে পয়লা বৈশাখ? গোটা বাংলার জন্য জরুরি পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের!
advertisement
দেওঘর এবং দার্জিলিংয়ের রোপওয়ের দুটি পৃথক সংস্থা৷ আর দেওঘরের সঙ্গে এই দিক দিয়েই দার্জিলিংয়ের রোপওয়ের পরিকাঠামো আলাদা। এখানকার কর্মীরাও প্রশিক্ষিত। তাদের যথেষ্টই দক্ষতা রয়েছে। তবুও যাতে কোনও খামতি না থাকে, পর্যটকদের কাছে ঝুঁকির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়, তাই চটজলদি যাবতীয় ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার নিম্বলকর। সেইমতো আজ সিংমারি ফাঁড়ির ওসি ছুটে যান। ১৯৬৮ সালে রোপওয়ে পরিষেবা চালু হয় শৈলশহরে। দার্জিলিংয়ের সিংমারি ও টাকভারের মধ্যে আড়াই কিলোমিটার পথে চলে রোপওয়ে। আপ-ডাউন মিলিয়ে ৫ কিলোমিটারের পথ। বর্তমানে ১১টি গাড়ি রয়েছে। ২০০৩ সালে দার্জিলিংয়ে রোপওয়ে দূর্ঘটনা ঘটেছিল। ওইসময় ৪ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর টানা ৮ বছর বন্ধ ছিল এই পরিষেবা। ফের তা চালু হয় ২০১২ সালে।
আরও পড়ুন: বাংলা আর ব্রাত্য নয়, বড় সিদ্ধান্তের পথে কেজরিওয়ালের আপ!
গতকাল ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের রোপওয়ে দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন পর্যটকের মৃত্যু হয়। এখনও উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে বায়ুসেনা। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে সব জায়গাতেই। দেশের যেসব প্রান্তে রোপওয়ে রয়েছে, সবেরই পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হয় আজ। সেইমতো দার্জিলিং জেলা প্রশাসনও দ্রুত যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখে। যদিও এখানকার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানান, সব ঠিকঠাকই রয়েছে।