মধুপুর ফাঁস খাওয়া ফেরিঘাটে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলে নদী পারাপার। বছরের অধিকাংশ সময় এই সাঁকো না থাকায় সমস্যায় পড়েন স্থানীয় মানুষরা। এখন বর্ষার সময় নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় বিপদ আরও বেড়েছে। এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা উকিল মিঁয়া জানান, দীর্ঘ সময় ধরে বারংবার এই এলাকায় একটি স্থায়ী চলাচলের ব্যবস্থার জন্য আবেদন জানানো হলেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। গ্রীষ্মের তিন মাস এই এলাকায় নদী পারাপার করা সম্ভব হয়। বাকি সময় বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়ে নদী পারাপার বন্ধ থাকে। এছাড়া বেশ কিছু জায়গায় নদী ভাঙনও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বেশ কিছুটা আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হোক, এমনটাই আর্জি তাঁদের।
advertisement
আরও পড়ুন: গরিব ঘরের সন্তানরাও পাক শিক্ষার আলো
এলাকার আরেক বাসিন্দা সাইদুল হক জানান, বর্ষাকালের সময় নদী পারাপারের বাঁশের সাঁকো বারংবার ভেঙে যায়। ফলে তা পুনঃনির্মাণ করতে খরচ হয় অনেকটাই বেশি। তাই এখানে স্থায়ী ব্যবস্থা তৈরি করা হলে স্থানীয়দের অনেকটাই বেশি সুবিধা হবে। এছাড়া এই এলাকা দিয়ে নিত্য চলাচলকারীরা সুবিধা পাবেন অনেকটাই। তবে আদতে কবে এই সেতু তৈরি বা স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ কবে করা হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এলাকার ব্যবসায়ী মেনকা ঘোষ জানান, এই এলাকায় নদী পারাপার বন্ধ থাকলে ব্যবসা বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়ে দাঁড়ায়। ঘাট খোলা থাকলে বেশ কিছু বিক্রি হয় এলাকায়। তখন দুটো পয়সা রোজগারের আশা থাকে। ঘাট বন্ধ থাকলে সেই পরিচিতিটুকু তৈরি হয় না।
সার্থক পণ্ডিত