জলের সঙ্গে পাহাড় থেকে নেমে আসা বালি ও পাথর জমা হয়ে বর্তমানে নদী এবং রাস্তার উচ্চতা প্রায় সমান হয়ে গিয়েছে। আর এই কারণেই বড় বিপত্তির আশঙ্কা করছেন আলিপুরদুয়ারের বক্সার জঙ্গল ঘেরা ঊনত্রিশ বস্তির পাশাপাশি আঠাশ বস্তির গ্রামের বাসিন্দারা। জঙ্গল ঘেরা এই এলাকার পাশেই রয়েছে আলিপুরদুয়ারগামী রাজ্য সড়ক। এই সড়ক ঘেঁষা বক্সা ঝোড়ার উচ্চতা বর্তমানে রাজ্য সড়কের সমান হয়ে গিয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের।
advertisement
আরও পড়ুন: জ্বালাতনের শেষ ছিল না! শেষমেশ খাঁচাবন্দি জোড়া লেপার্ড! দেখুন ভিডিও
তাদের কথায়, বছরের অধিকাংশ সময় এই ঝোড়ায় জল না থাকলেও বর্ষায় তা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। প্রতিবছর বর্ষায় পাহাড় থেকে বালি, পাথর এসে ধীরে ধীরে রাস্তার সমান উচ্চতা ধারণ করেছে নদীটি। পাশাপাশি, এই নদীটির উচ্চতা বাড়ায় তার নীচে চাপা পড়েছে বাঁধও। ফলে ধীরে ধীরে উচ্চতা বাড়ার পাশাপাশি, দুদিক থেকে চওড়া হয়েছে নদীটি। সুপেন খড়িয়া নামের এক বাসিন্দা জানান, “এই বর্ষায় আমরা কোথায় গিয়ে ঠাঁই নেব, তা আমরা জানি না। পরিস্থিতি এমন, এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই ভয় লাগছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকাবাসীদের কথায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই বর্ষায় গ্রামটি আর থাকবেনা। গত তিনবছর ধরে এই নদীটি উঁচু হয়ে চলেছে। শীঘ্র তা খনন ও সেটাতে বাঁধ না দিলে এবছর গ্রামের অনেক বাসিন্দারা নিজেদের ভিটেমাটি হারাবেন বলে জানা যায়। এই ঝোড়ার জল গ্রামে প্রবেশ করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ঊনত্রিশ ও আঠাশ বস্তির বাসিন্দারা।
Annanya Dey





