এদিন পাঞ্জাব থেকে ৪২ রেকের একটি ট্রেনে গম পৌঁছতেই বালুরঘাট স্টেশন সংলগ্ন এলাকা জুড়ে যেন ছোটখাটো উৎসবের চেহারা নিয়েছে। শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খাদ্যশস্য মজুতের কাজ। প্রায় ২৫০ জন শ্রমিক, ২৫ টি লরি ও স্থানীয় ট্রাক সংগঠনের সহায়তায় গোডাউনে শুরু হয় গম মজুতের কাজ।
বর্তমানে শুরু হয়েছে হিলি বালুরঘাট রেললাইন পাতার কাজ। এটি সম্পূর্ণ হলেই বাংলাদেশের খাদ্যশস্য রফতানি করা সহজ হবে। তার সঙ্গে বাংলাদেশ হয়ে অসম, মেঘালয় সহ বিভিন্ন রাজ্যে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে উপকৃত হবে এই প্রকল্প বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
এবিষয়ে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর হিলি-তুরা করিডরের আহ্বায়ক নবকুমার দাস জানান, “সাইলো গোডাউনে জলীয় বাষ্প থেকে বাঁচিয়ে খাদ্যশস্য দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সংরক্ষণ করা যায়। ফলে এখান থেকে বাংলাদেশ হয়ে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে মেঘালয় অনায়াসে খাদ্য পণ্য পৌঁছে দেওয়া যাবে। ভারত সরকারের অনেকটা আয়ের পথ খুলে যাবে।”
সাইলো গোডাউনের ঘরগুলি সাধারণত লম্বা, নলাকার কাঠামো আকারের হয়। যা উপরের দিক থেকে লোড করা হয়। নীচের দিক থেকে মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা সাহায্যকারীর মাধ্যমে আনলোড হয়। ট্রেন থেকে লোড করার জন্য সুবিধাজনক এই অত্যাধুনিক গোডাউন। যেখানে মোট ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য দীর্ঘ সময় ধরে মজুত করা সম্ভব হবে। একটি মালিকানাধীন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতীয় রেল ও ফুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এই উদ্যোগ নিয়েছে। লম্বা চিমনির মধ্যে দিয়ে মালগাড়ি সরাসরি গোডাউনের ভিতরে খাদ্যশস্য লোড করতে পারবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে আনলোডও হবে। জলীয় বাষ্পমুক্ত অবস্থায় থাকায় খাদ্যশস্য দীর্ঘদিন সাইলোগুলোতে মজুত রাখা যাবে। পর্যবেক্ষণ ও তদারকির জন্য হায়দরাবাদের একটি কোম্পানি ৩০ বছরের জন্য দায়িত্ব নিয়েছে। তবে, এই সাইলো গোডাউন চালুতে আগামীতে শুধু খাদ্য সুরক্ষার নতুন দিশা নয়, কর্মসংস্থানের দিক থেকেও জেলাবাসীর কাছে এক আশার আলো বলে মনে করছেন বালুরঘাট ট্রাক অনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।





