কুইর কার্নিভালে এসে এমনটাই মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামীরা। সেবক রোডের একটি হোটেলে এই কার্নিভালের আয়োজন হয়। সেখানে হস্তশিল্প প্রদর্শনী ও খাদ্যমেলাও ছিল। পাশাপাশি রূপান্তরকামী বা এলজিবিটিকিউআইএ প্লাস কমিউনিটির সদস্যরা কীভাবে চাকরি পেতে পারেন সেই আলোচনাও হয়েছে কার্নিভালে।
আরও পড়ুন: কাঠ কুড়োতে জঙ্গলে গিয়ে হাতির খপ্পরে, দুই মহিলাকে শুঁড়ে জড়িয়ে আছাড়
advertisement
এই কার্নিভাল থেকে সমকামী বিয়ে ও সন্তান দত্তক নেওয়ার সরকারি স্বীকৃতির দাবি উঠে এসেছে। এদিন প্রায় সাড়ে তিনশোর মতো এলজিবিটিকিউআইএ প্লাস কমিউনিটির সদস্যরা অংশ নেন। ‘উত্তর ফাল্গুনী’ ও ‘শিলিগুড়ি প্রাইড ওয়াক’ সংগঠনের উদ্যোগে এই কার্নিভাল আয়োজিত হয়। কলকাতা থেকে আসা সুদেব সুহানা বলেন, বিদেশে খুব জাঁকজমক করে এই ফেস্টিভাল পালন করা হয়। কয়েকবছর আগে কলকাতায় এই ফেস্টিভ্যাল পালন করা হলেও এখন তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়ি যেন আমাদের নতুন পথ দেখাচ্ছে। সমকামিতা, উভকামিতা বা রূপান্তরকামিতা কোনও রোগ নয়। বরং স্বাভাবিক যৌন চাহিদা। এদিনের ফেস্টিভ্যালে সমাজকে এই সম্পর্কে বার্তা দিতে উপস্থিত ছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম রূপান্তরকামী বিচারক জয়িতা মণ্ডল। সেখানে সারাদিন ধরে নাচ, গানের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবিরও হয়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
উত্তর ফাল্গুনী সংগঠন থেকে প্রবীর ঘোষ বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য আমাদের কমিউনিটির মানুষকে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন ও সক্রিয় করে তোলা। এখনও কর্মক্ষেত্রে, স্কুলে, সমাজে আমাদের অনেককেই হেনস্তা হতে হয়। সেগুলো যাতে বন্ধ হয় সেজন্যই আমরা একত্রিত হয়ে আরও বেশি করে এধরনের অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেব। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, রূপান্তরকামী তথা এলজিবিটিকিউআইএ প্লাস কমিউনিটির সদস্যরা কীভাবে চাকরি পেতে পারেন সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে এলজিবিটিকিউআইএ প্লাস কমিউনিটির বাইরের মানুষরাও অংশ নিয়েছিলেন।
অনির্বাণ রায়