জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধূপঝোরায় ওই অজগরটিকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এর পর সাপ দেখতে সেখানে ভিড় করেন প্রচুর মানুষ । স্থানীয় বাসিন্দারা সাপটিকে ধরতে খবর দেন বনদপ্তরে। এরপর ধূপঝোরা বিট অফিস থেকে বনকর্মীরা সেখানে আসেন । তাঁরা আসার আগেই অজগর সাপ একটি হাঁস ধরে ফেলে ফের জঙ্গলে ঢুকে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: লোকালয়েই তীব্র প্রসববেদনা, জঙ্গলে ফেরার পথে চাবাগানের কাছে শাবকের জন্ম দিল হস্তিনী
তার পর বনকর্মীরা জঙ্গল থেকে প্রথমে সাপটিকে বার করে এনে বস্তাবন্দি করেন। অজগর সাপটি সুস্থ থাকায় এদিনই গরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে বনদপ্তর সূত্রে । অজগরটি প্রায় ১১ ফুট লম্বা ছিল। মাঝেমধ্যেই খাবারের খোঁজে নদী ও জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় ঢুকে পড়ে অজগর। মূলত হাঁস-মুরগি গবাদি পশু খেতে আসে। মনে করা হচ্ছে এ দিনও খাবারের খোঁজে পুকুরপাড়ে এসেছিল অজগরটি।
আরও পড়ুন: বনভোজন বন্ধ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখিরা ফিরে এল
স্থানীয় বাসিন্দা মুনমুন হোসেন জানান, ‘‘আমি বাড়িতে কাজ করছিলাম৷ আচমকাই পুকুরপাড় থেকে হাঁসের চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। ছুটে যাই পুকুরপাড়ে৷ সেখানে গিয়ে দৃশ্য দেখে আমার চোখ কপালে উঠে যায়৷ দেখি একটি বিশাল অজগর কুণ্ডলী পাকিয়ে একটি হাঁসকে ধরে রেখেছে। আমি রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ি৷’’
আরও পড়ুন: লোকালয়েই তীব্র প্রসববেদনা, জঙ্গলে ফেরার পথে চাবাগানের কাছে শাবকের জন্ম দিল হস্তিনী
আশপাশ থেকে গ্রামবাসীরা এসে সবথেকে প্রথমে সাপটিকে ধরার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু সেটি বড় থাকায় কেউ সাহস করে ধরতে পারছিলেন না। এর পর খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরকে। ধূপঝোরা বিটের বনকর্মীরা এসে বহু প্রচেষ্টার পর সেই অজগর সাপকে ধরতে সক্ষম হন। সর্প বিশারদ মিন্টু চৌধুরী জানান, সাপটি ইন্ডিয়ান রক পাইথন প্রজাতির। এই প্রজাতির সাপ আকারে ১৬-১৭ ফিট অবধি লম্বা হয়ে থাকে। সচরাচর এই অজগর সাপগুলি খাবারের খোঁজে গ্রামে ঢুকে পড়ে। মুরগি, হাঁস, ছাগল, মাছ এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে।
(প্রতিবেদন-রকি চৌধুরী)