এদিকে অত বড় অজগর সাপ দেখে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কুইক রেসপন্স টিম এবং ন্যাসের সদস্য মনোহর হোসেন ও তাঁর দলের লোকজন গাছের ডাল কেটে অজগর সাপটিকে নামান এবং বস্তাবন্দি করে পাশের জঙ্গলে দেওয়া হয়।
পরিবেশপ্রেমী নফসর আলী বলেন, '' গাছের ডাল কেটে অজগরটিকে নামানো হয়। এরপর অজগরটিকে তারঘেরা জঙ্গলে নিয়ে যাই। সেখানে বন দফতরের কর্মীদের সহযোগিতায় তারঘেরা জঙ্গলে সাপটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দেই। অজগরটি প্রায় ১২ ফিট লম্বা ছিল। আমাদের সহযোগিতা করে নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির সদস্যরা।''
advertisement
চলতি মাসেই ময়নাগুড়ি হাই স্কুল সংলগ্ন মাঠ থেকে উদ্ধার হয় একটি অজগর সাপ। স্থানীয় ছেলেরা মাঠে খেলার সময় প্রাচীরের ওপর সাপটিকে লক্ষ্য করে। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় এক প্রকৃতিপেমী সংস্থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সংস্থার সদস্যরা। উদ্ধার হওয়া অজগর সাপটি ছিল লম্বায় ১০ ফুট। সাপটিকে বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গত মাসে মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধূপঝোরার দরবেশ পাড়া এলাকার সবজির খেত থেকে উদ্ধার হয় ৯ ফুটের একটি অজগর।
আরও পড়ুন: কোচবিহারে মেডিক্যালে নতুন ভাবে সাজছে সিসিইউ
অন্যদিকে, চলতি মাসেই অচেনা জন্তুর আতঙ্কে কাঁটা হয়ে ওঠে ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ধলাবাড়ি গ্রাম! স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদুল ইসলামের বাড়িতে এক বস্তার মধ্যে লুকিয়েছিল প্রাণীটি। বাড়ির লোক দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে যান, শুরু হয় চিৎকার-চেঁচামেচি! তাঁদের হুলুস্থুলে পাড়া-প্রতিবেশীরা জড়ো হন। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে! কর্মীরা এসে জন্তুটিকে উদ্ধার করেন। গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানো প্রাণীটি আসলে বিরল জন্তু গন্ধগোকুল। যাকে ইংরেজিতে বলে Asian palm civet । এর বৈজ্ঞানিক নাম Paradoxurus hermaphroditus। তাল খাটাশ, ভোন্দর, লেনজা, সাইরেল বা গাছ খাটাশ নামেও পরিচিত। এরা তালের রস বা তাড়ি পান করে বলে তাড়ি বা টডি বিড়ালও বলা হয়। গন্ধগোকুল বর্তমানে অরক্ষিত প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। পুরোনো গাছ, বন-জঙ্গল কমে যাওয়ায় দিন দিন এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) বিবেচনায় পৃথিবীর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় উঠে এসেছে এই প্রাণীটি। আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-সহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রজাতির গন্ধগোকুলের বাস।
Rocky Chowdhury