নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের যাদববাটি ঝারতলা এলাকার প্রায় ২০ মিটার পুনর্ভবা নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে প্লাবিত হয় নন্দনপুর অঞ্চলের আমতলীঘাট, সুতইল, বাসোর, সুড়সুড়ি, গোনাহর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। সেইসঙ্গে জলের তলায় তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠের ফসল। বাঁধ ভাঙার ঘটনা সামনে আসতেই প্রশাসনকে দায়ী করেছেন স্থানীয় মানুষজন।
আরও পড়ুনঃ ৬ বছর পর বাবাকে ফিরে পেল ছেলে! পুলিশের প্রচেষ্টায় বাড়ি ফিরলেন বৃদ্ধ স্বপন
advertisement
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই এলাকা জুড়ে বাঁধ নির্মাণ নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা পরিষদের কাছেও একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজও সমস্যার সমাধান হয়নি। নদীর জল বাড়লেই রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়, এমনকি অন্যান্য এলাকা থেকে এই ১০-১২টি গ্রাম একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় গ্রামবাসী নেপাল মণ্ডল বলেন, ‘প্রায় প্রতি বছর বন্যা পরিস্থিতির শিকার সকলে। যেভাবে নদীর জল বাড়ছে, একদিনের মধ্যে বাড়িতে জল ঢুকে যেতে পারে। এই এলাকায় নদী বাঁধ দেওয়া হলে খুব ভাল হয়। বাড়িতে জল ঢুকে গেলে কোথায় গিয়ে উঠতে হবে তা জানা নেই। পাড়ায় বেশিরভাগই মাটির বাড়ি। সরকারি বাড়ি পেলে হয়ত ঘর ছাড়তে হত না’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে জানা যায়, সঠিক সময়ে বাঁধ মেরামতি না হওয়ার কারণে প্রতিবছর এই এলাকার মানুষদের দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। নদীর এমন জলস্তর বৃদ্ধির ফলে ডুবে যেতে থাকে এলাকার কৃষিজ ফসল। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে বাঁধে মাটি ফেলে কংক্রিটের না তৈরি করলে প্রতিবছরই এই ধরণের সমস্যা হবে।