দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন সংরক্ষণ, পর্যটন ও সংস্কৃতি আদান-প্রদানকে আরও সুবিন্যস্ত করতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্রে একটি মৌ স্বাক্ষর করেছেন ভারত ও নেপালের দু’টি বেসরকারি পর্যটন সংস্থা। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নেপালের পর্যটন সচিব বিশাল ঘিমিরে ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সংরক্ষক নবিকান্ত ঝা সহ দুই দেশের এক ঝাঁক পর্যটন ব্যবসায়ী।
advertisement
আলিপুরদুয়ারে মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং স্বাক্ষরের ওই বৈঠকে স্থির করা হয়েছে যে, আসন্ন পুজোয় পর্যটনের মরশুমে যাতে দুই দেশের পর্যটকরা বিনা বাধায় ভারতের ইস্টার্ন ডুয়ার্স ও নেপালের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ঘুরে বেড়াতে পারেন, সেই বিষয়ে দায়বদ্ধ থাকবে ইস্টার্ন ডুয়ার্স ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন ও নেপালের একাধিক পর্যটন সংস্থাগুলি। এছাড়াও আলিপুরদুয়ারের সীমান্ত শহর জয়গাঁ থেকে নেপালের বিরাটনগর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের তরফে যাতে একটি সরকারি বাস প্রতিদিন চালানো হয় সেই দাবিও নিগমের কাছে রাখা হয়েছে। ইস্টার্ন ডুয়ার্স ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “দুই দেশের পর্যটন সংস্থার মধ্যে যে মৌ সাক্ষরিত হল, তার মাধ্যমে ভারত ও নেপালের বন সংরক্ষণ, পর্যটন ও সংস্কৃতি আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিল।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নেপালের পর্যটন সচিব বিশাল ঘিমিরে জানান, “দুই দেশের পর্যটন সংস্থাগুলি মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, দুই দেশের পর্যটকদের গাড়িগুলিতে এক বিশেষ ধরনের স্টিকার ব্যবহার করা হবে। যাতে ওই স্টিকারের বলে দুই দেশের পর্যটকরা আইন না ভেঙে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন। আরও একটি ভ্রান্ত ধারনা ভেঙে জানাতে চাই যে নেপালে ভারতীয় পর্যটকদের জন্য কোনও অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় না।”