বাগানের স্বল্প জায়গায় এই ধরনের চাষ নজর কাড়ে বটে! সেরকমই জলপাইগুড়ির বহু বাসিন্দাদের ছাদবাগানেই এখন চোখে পড়ছে গ্রীষ্মকালীন ফলের রাজা আম চাষ। তবে মিয়াজাকি-সহ অন্যান্য প্রজাতির আম চাষ করা ট্রেন্ড হলেও শহরের দিনবাজার সংলগ্ন বসন্ত সিং-এর বাড়িতে চাষ হচ্ছে এমন এক আমের যার প্রতিটির ওজন চমকে দেওয়ার মতো।
আরও পড়ুন: বলুন তো কোন মাছ জলে সাঁতার কাটে, আকাশে ওড়ে, আবার ডাঙায় চলাফেরা করে?
advertisement
এই আম গাছটি থাইল্যান্ডের প্রজাতির আম গাছ। গাছে বেশি ফলন হয় না। তবে, যে ক’টা আম ফলে তা দশটি সাধারণ আম গাছের সমান। কোনও একটি বড় গাছ যদি সঠিকভাবে ভাল ফলন দেয় তা হলে সেই গাছে ৫-৬ টি আম ধরবে যার ওজন প্রায় ১০ থেকে ১২ কেজি।
জানা গিয়েছে, শহরের বাসিন্দা বসন্ত বাবুর বরাবরই ছাদে বিভিন্ন চাষ করার শখ। গত দু’বছর ধরে থাইল্যান্ডের প্রজাতির এই আম চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রায় দু বছর ধরে তাদের বাড়ির মানুষ এই গাছের আমের স্বাদ গ্রহণ করছেন। আমটির আরও একটি বিশেষত্ব হল এই আমটি কাঁচা এবং পাকা উভয় অবস্থাতেই মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে।
বাংলার সাধারণ আমের তুলনায় বিশাল আকারের ভিন্নধরনের এই আম স্বচক্ষে দেখতে বসন্ত বাবুর বাড়িতে ভীড় করেন বহু প্রতিবেশী। এছাড়াও তার বাড়ির ছাদে ছেয়ে রয়েছে অন্য আরও নামিদামি প্রজাতির আমের গাছ। বলাই বাহুল্য, ছাদ বাগান জুড়েই তার এখন নজর কাড়া আম বাগান।
সুরজিৎ দে