ঘটনায় রীতিমতো হতবাক অনান্য রেল যাত্রীরা। সুস্থ স্বাভাবিক সন্তানের জন্ম দেন প্রসূতি। মা ও সন্তান দুই জনেই সুস্থ রয়েছে। পরে রেলের চিকিৎসকের পক্ষ থেকে ওই প্রসূতি ও সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আপ পদাতিক এক্সপ্রেস ট্রেনের ( ১২৩৭৭) ঘটনা। এই ট্রেনের সাধারণ কামরার যাত্রী ছিলেন এক প্রসূতি। সঙ্গে তাঁর স্বামী ছিলেন। পদাতিক এক্সপ্রেসের সাধারণ কামড়ায় ব্যাপক ভিড় থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন- ভারতে আর থাকবেন না বিরাট-অনুষ্কা! চমকে দেবে ‘এই’ খবর, বড় সিদ্ধান্তের দেরি নেই!
সেই ভিড়ের মধ্যেই কলকাতা থেকে কোচবিহারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিলেন ওই দম্পতি। মালদহ টাউন স্টেশন ঢোকার আগেই ভোর নাগাদ ওই প্রসূতির প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়।
চলন্ত ট্রেনে কী করবেন কিছু বুঝে উঠতে পারছিলেন না তাঁর স্বামী। আশেপাশের যাত্রীরাও ঠিক ওই মুহূর্তে কী করা উচিত তা কেউই বুঝে উঠতে পারছিলেন না।
যাত্রীদের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় ট্রেনের কর্মীদের। প্রসূতির জন্য একটি সিট ছেড়ে দেন অন্যান্য যাত্রীরা। ওই ট্রেনের কর্মীরা খবর দেন মালদহ রেলওয়ে হাসপাতালে। খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতাল থেকে একটি মেডিকেল টিম পৌঁছায় মালদহ টাউন স্টেশনে।
ট্রেনটি স্টেশনে ঢোকা মাত্রই তাঁরা ছুটে যান সাধারণ কামরায় ওই প্রসূতি যাত্রীর কাছে। সেই সময় কোনও উপায় ছিল না ওই প্রসূতিকে ট্রেন থেকে নামানোর। তাই চিকিৎসক ট্রেনের মধ্যেই প্রসব করান।
আরও পড়ুন- দু’মাস নিরুদ্দেশ বিরাট-অনুষ্কা! কে সব থেকে বেশি খুঁজেছিল? কোহলির মুখে ‘সেই নাম’
সুস্থ স্বাভাবিক একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই প্রস্তুতি। চিকিৎসক-সহ মেডিকেল টিমের কর্মীরা ওই প্রসূতিকে পরে ট্রেন থেকে নিচে নামান। প্রসূতি ও নবজাতকের অবস্থা স্বাভাবিক থাকলেও সেখান থেকে তাদের মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য।
বর্তমানে সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তবে এদিন রেল যাত্রী ও রেল কর্মীদের যৌথ সহযোগিতায় একজন প্রসূতি সুস্থ স্বাভাবিকভাবে চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই প্রসব করলেন। যা এক নজিরবিহীন ঘটনা।
এই বিষয়ে পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, এমন ঘটনা নজিরবিহীন। রেলকর্মীরা সাহসিকতার কাজের পরিচয় দিয়েছেন।
হরষিত সিংহ






