সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছে ক্যাপসুল ছাতা। দেখতে হুবহু বড় ক্যাপসুলের মতো। ভেতর থেকে খুলে গেলে বেরিয়ে আসে ছাতা! ব্যাগে, পকেটে, জিন্সের ছোট পকেটেও অনায়াসে রাখা যায়। ছোটখাটো কলেজ পড়ুয়া থেকে ব্যস্ত অফিসযাত্রী—সবাই খুশি এই নতুন ছাতায়। এরপর বেনানা ছাতা। নাম শুনেই মজার লাগছে? দেখতে তো আরও মজার! একদম কলার খোসার মতো কেস, ভেতরে লুকিয়ে ছোট্ট ছাতা। শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় আর স্কুলপড়ুয়া টিনএজারদের কাছে এখন বেনানা ছাতা মানেই স্টাইল স্টেটমেন্ট। শুধু বড়রা নয়, বাচ্চারাও দারুণ খুশি। তাদের জন্য আছে বাটারফ্লাই ছাতা—যেখানে প্রজাপতির ছবি থাকে ছাতার গায়ে। বৃষ্টি পড়লেই সেই প্রজাপতিগুলো রঙিন হয়ে ফুটে ওঠে! দোকানিরা বলছেন, অনেক বাবা-মা বাচ্চার মুখে হাসি ফোটাতে কিনছেন এই ছাতা। এতকিছুর পরও যদি ছাতা না থাকে? চিন্তার কিছু নেই। এসেছে ‘ইমার্জেন্সি রেনকোট’।
advertisement
ছোট্ট বলের মতো বাক্স খুললেই বেরিয়ে আসবে পলিথিন রেনকোট। দাম মাত্র ১০০ টাকা থেকে শুরু, ৮–১০ বার ব্যবহার করা যাবে। এই মজার ছাতাগুলির দাম শুরু ১৫০ টাকা থেকে। উন্নত ডিজাইন, ব্র্যান্ডেড হলে দাম ৪০০–৫০০ টাকা পর্যন্ত। বেশিরভাগ ছাতা কোরিয়া থেকে আসে। কিছু চিনা ছাতা এখনও বাজারে আছে, তবে নতুন করে আমদানি এখন আর হচ্ছে না—যা আছে, তাই বিক্রি হচ্ছে এমনটাই জানাচ্ছেন বিক্রেতা উত্তম সরকার।
উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে, আর বর্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে। এমন সময় ছাতার বিক্রি বাড়বে না—তা হয় নাকি? বিক্রেতা রবি পালের কথায়, আধুনিক ডিজাইন আর বহনযোগ্যতা দেখেই মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। রোদে, বৃষ্টিতে, ভিড়ের মধ্যে বড় ছাতা নিয়ে যুদ্ধ আর নেই—পকেটে ক্যাপসুল ছাতা থাকলেই হল! আগে বড় ছাতাই বিক্রি করতাম। এখন ছোট ছাতাই বেশি চলে। ছেলে-মেয়েরা ডিজাইন দেখে কিনছে, দামও খুব বেশি নয়। বর্ষার আগে এই ছাতাগুলোই আমাদের বেচাকেনা বাঁচাচ্ছে। — বললেন হিলকার্ট রোডের এক দোকানি। ছাতা এখন শুধু বৃষ্টি ঠেকানোর জিনিস নয়—ছাতা এখন স্টাইল, এবং পকেট ফ্রেন্ডলি। শিলিগুড়ির বাজার দেখিয়ে দিচ্ছে — ছোট জিনিসেই লুকিয়ে থাকতে পারে বড় সুবিধা! দাদুর ছাতা নয়, পকেট ছাতাই এবার শহরের নতুন বন্ধু।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য