রবিবার দার্জিলিংয়ের জিডিএনএস হলের বৈঠকে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। বৈঠকে প্রথম সারির নেতারা না থাকলেও আলোচনা ফলপ্রসূ বলে দাবি চার দলের নেতাদের। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং বিজেপি নেতাদের দাবি রাজনীতিতে সবই সম্ভব। জোটেরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা ঠিক হবে আগামী দিন সাতেকের মধ্যে। জিটিএ এবং দার্জিলিং পুরসভায় হার থেকে শিক্ষা নিয়ে বিরোধী ভোট এককাট্টা করতেই গুরুং আজ বিরোধী দলগুলিকে বৈঠকে ডাকে।
advertisement
আরও দেখুন
তবে এদিন যোগ না দিলেও পরবর্তী বৈঠকে ঘিসিংয়ের জিএনএলএফও থাকবে বলে সূত্রের খবর। পাহাড়ে শান্তি, গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জোট করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে দাবি। তবে এই জোট পঞ্চায়েতকে সামনে রেখে। আর যদি গুরুং এবং বিজেপি জোট বেঁধে ভোট ময়দানে নামে তাহলে তা উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হবে।
বিজেপি নেতা সঞ্জীব লামার দাবি, কয়েক দিনের মধ্যে সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গে আলোচনা করেই জোট গড়ে না এককভাবে দল লড়বে তা চূড়ান্ত করা হবে।
আরও পড়ুন - Tornado in Haldia: ‘ত্রাহি ত্রাহি রব’- প্রবল গরমের মধ্যে হলদিয়ায় টর্নেডো! ভিডিওতে রইল প্রমাণ
গুরুং তো আগে বিজেপির সঙ্গেই ছিল। বছর দুয়েক ধরে জোট থেকে বেরিয়ে এলেও সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেনি। গোর্খা জনমুক্ত মোর্চা নেতা সুরজ সুব্বা বলেন, আজ প্রাথমিক স্তরে আলোচনা হয়েছে। মূলত পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছি আমরা। এবারে অন্য দলগুলি নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে তাদের সিদ্ধান্ত জানালে সেইমতো এগোবে। এদিনের বৈঠকে বিমল গুরুং, রোশন গিরি, অজয় এডওয়ার্ড, কল্যান দেওয়ানেরা না থাকলেও একমঞ্চে বিরোধীদের দাঁড়ানো রাজনৈতিকভাবে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও অনীত থাপা বিরোধীদের জোটকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন।
Partha Sarkar