আরও পড়ুন: আচরণ বদলে তিস্তার পাড়েই দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে, মাথাব্যাথা বাড়াচ্ছে হাতি
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে পাকুয়াহাট ডিগ্রি কলেজ। মালদহের আদিবাসী অধ্যুষিত বামনগোলা ব্লকে অবস্থিত এই কলেজ। দীর্ঘদিন ধরেই মালদহ জেলার আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীরা অলচিকি হরফে পঠন-পাঠন শুরুর দাবি করে আসছিলেন। মালদহের বেশ কিছু স্কুলে অলচিকি হরফে পঠনপাঠন হয়। স্কুলের পাঠ চোকার পর অলচিকি হরফে উচ্চশিক্ষার জন্য এতদিন জেলার বাইরে যেতে হত আদিবাসী পড়ুয়াদের। কিন্তু পাকুয়াহাট ডিগ্রি কলেজে এবার থেকে সেই সুযোগ পাওয়া যাবে।
advertisement
কলেজ পড়ুয়া বিশাল সোরেন বলেন, আমরা খুব খুশি সাঁওতালি ভাষায় পাকুয়াহাট ডিগ্রি কলেজে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। তবে এখনও অধ্যাপক নিয়োগ হয়নি। আমরা চাইছি দ্রুত অধ্যাপক নিয়োগ করা হোক। ইতিমধ্যে সাঁওতালি ভাষায় অনার্স কোর্স চালুর সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। তারপরই পাকুয়াহাট ডিগ্রি কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা প্রায় শেষ পর্যায়ে। শুধু মালদহে নয়, উত্তরবঙ্গের প্রথম সাঁওতালি ভাষায় অনার্স চালু হল এই কলেজে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
মালদহ জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত ব্লক হবিবপুর, বামনগোলা ও গাজোল। এই তিনটি ব্লকের মাঝে রয়েছে পাকুয়াহাট ডিগ্রি কলেজ। স্থানীয় আদিবাসী যুবক-যুবতীরা দীর্ঘদিন ধরে পাকুয়াহাট ডিগ্রি কলেজে সাঁওতালি ভাষায় পঠন পাঠনের দাবি জানিয়ে আসছিল। অবশেষে পড়ুয়াদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে কিছুদিন আগে কলেজে কর্তৃপক্ষ উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে সাঁওতালি ভাষায় অনার্স কোর্স চালু করার প্রস্তাব পাঠায়। সেই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে, শুরু হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়াও। এই প্রসঙ্গে পাকুয়াহাট ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজন ঘোষ বলেন, দীর্ঘদিনের দাবি ছিল আমাদের এই কলেজে সাঁওতালি ভাষায় বা অলচিকি হরফে পঠন পাঠন চালুর। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা দফতরের যৌথ প্রচেষ্টায় বিষয়টি চালু করা গিয়েছে। এর ফলে এখানকার বহু আদিবাসী পড়ুয়া উপকৃত হবেন। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই ২৮ জন ছাত্রছাত্রী অলচিকি ভাষায় স্নাতক স্তরের পঠনপাঠনের জন্য ভর্তি হয়েছে।
হরষিত সিংহ





