TRENDING:

হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে পদ্মশ্রী পুরস্কার জয়ী! ছবি ভাইরাল হতেই হইচই কাণ্ড

Last Updated:

Maldah Medical: পদ্মশ্রী জয়ী তিনি। তার পরও শুয়ে থাকতে হল হাসপাতালের মেঝেতে!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মালদহ: মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়ে মেঝেতে ঠাঁই পদ্মশ্রী জয়ীর ! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি।
advertisement

দীর্ঘক্ষণ বেড পাননি পদ্মশ্রী কমলি সোরেন। মেঝেতে অন্য রোগীর সঙ্গে তোষকে রাখা হয় পদ্মশ্রী জয়ীকে। বেহাল পরিস্থিতির মুখে পড়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতে চান অসুস্থ পদ্মশ্রী গুরুমা।

ফের চিকিৎসায় গাফিলতি মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে সোমবার দুপুরে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন পদ্মশ্রী।

আরও পড়ুন- রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর, পশুপতিনাথ দর্শন এবার শিলিগুড়িতেই, খুলল বিশাল মন্দির

advertisement

সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়। ' গুরুমা ' নামেই সমধিক পরিচিত তিনি। যদিও হইচই হওয়ার পরেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের।

পরবর্তীতে হাইব্রিড সিসিইউ বিভাগে রেখে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আপাতত অনেকটা সুস্থ পদ্মশ্রী কমলি সোরেন। জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায়।

একই সঙ্গে অধ্যক্ষের দাবি, প্রথমে ভর্তি হওয়ার পর সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল কমলীকে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে মেঝেতে ঠাঁই হওয়ার পর হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন পদ্মশ্রী। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে কনকা হেমরম।

advertisement

জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন গুরুমা কমলি সোরেন। মালদহের গাজোলের কোদালহাটি গ্রামে নিজস্ব আশ্রমে বসবাস করেন তিনি। স্থানীয় চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন- বড় খবর! মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন বনধের ডাক, ভোগান্তির আশঙ্কা পরীক্ষার্থীদের

এর পর সোমবার দুপুর নাগাদ তাঁকে আনা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।তাঁকে ভর্তি করতে নিয়ে আসা লাল্টু বিশ্বাসের অভিযোগ, দুপুর নাগাদ মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর তাঁর 'পদ্মশ্রী' পরিচয় দেওয়া হয়। কিন্তু, তাতে কেউ আমল দেননি।

advertisement

অন্য এক রোগীর সঙ্গে সাধারণ মহিলা বিভাগের মেঝেতে পাতা শয্যার ওপর থাকতে দেওয়া হয় গুরুমাকে। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা এভাবেই কার্যত অসহনীয় অবস্থার মধ্যে থাকেন তিনি।

একসময় চিকিৎসা না নিয়ে চলে যেতে চান। পরে বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হওয়াতে তৎপর হয় কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যের পর হাইব্রিড সি সি ইউ বিভাগের বেড মেলে। এর পর থেকে অবশ্য ভালো চিকিৎসা হয়েছে।

advertisement

মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতিও হয় তাঁর।

মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবী করেছে, যে কোনও রোগীকে ভর্তির পর প্রথমে সাধারণ ওয়ার্ডে বেশ কিছু সময় থাকতে হয়।

সিসিইউ বা অন্য বিভাগ পাওয়ার ক্ষেত্রে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শ লাগে। এছাড়া কিছু শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষারও প্রয়োজন হয়। সবদিক দেখার পর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এরপরেও কোথাও কোনওরকম গাফিলতি ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে পদ্মশ্রী পুরস্কার জয়ী! ছবি ভাইরাল হতেই হইচই কাণ্ড
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল