জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় নগেন্দ্রনাথ বাবুর কাছে, মাটিগাড়া নকশালবাড়ি বিধায়কের ফোন আসে এরপর বিধায়ক জানান, ‘আপনি পদ্মশ্রী পুরস্কার পেতে চলেছেন’ এ শুনে হতবাক হয়ে পড়েন নগেন্দ্রনাথ বাবু। এরপর সব বিষয়ে খুলে বলার পর উনার বাড়িতে গিয়ে দেখা করে সংবর্ধনা জানিয়েছেন বিধায়ক। এরপর কিছু সময় যেতে না যেতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও) থেকে ফোন করে সংবর্ধনা জানানো হয় । এদিন তাঁর পদ্মশ্রী সম্মান পাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নগেন্দ্রনাথবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান বিভিন্ন মহলের মানুষেরা।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
পদ্মশ্রী নগেন্দ্রনাথ রায় জানান, ‘আমি এই সম্মান পেয়ে সত্যিই ভীষণ আপ্লুত। প্রথমে তো আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে আমি এই পুরস্কার পাবো। এই জয় শুধু আমার জয় না গোটা উত্তরবঙ্গবাসীর জয়।’ তিনি আরোও জানান, ‘রাজবংশী ভাষা নিয়ে আমার চর্চা বহু কালের। কাজেই এই ভাষা যেন সবার মধ্যে থেকে যায় সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আমি লেখালেখি শুরু করেছিলাম। গীতা রবীন্দ্রনাথের চণ্ডালিকা থেকে শুরু করে অনেক বইয়েরই আমি রাজবংশী ভাষায় অনুবাদ করেছি। রামায়ণ লিখে ফেলেছি।’
তার এই প্রাপ্তি তাকে যেন আরো চাঙ্গা করে তুলেছে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় সাধ হলেও ভীতির কারণে মহাভারত লেখার কাজ শুরু করতে পারিনি। কিন্তু এখন মনে হয় সেটা লিখতে পারব।’
অনির্বাণ রায়