এ দিন মালদা টাউন স্টেশনে পৌঁছনর পর তাঁকে সংবর্ধনা এবং হুডখোলা গাড়িতে চাপিয়ে শোভাযাত্রা করা হয় গোটা শহরে । এর পর তাঁর কর্মক্ষেত্র গাজোলেও ভারতীয় সনাতন সাঁওতাল কল্যাণ আশ্রম-এর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও মিছিলের আয়োজন করা হয় । আদিবাসী নাচ এবং জাতীয় পতাকা হাতে তাঁকে নিয়ে চলে মিছিল ।
আরও পড়ুন : কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ উপভোগ করতে এ বার পাকদণ্ডি বেয়ে হিমকন্যায় দার্জিলিং থেকে কার্সিয়ং
advertisement
মালদহের গাজোলের কোটালহাট গ্রামে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নিজের হাতে গড়া আশ্রম চালান কমলি । বিপদে পড়লে দরিদ্র আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া মানুষকে আর্থিক ও অন্যান্য সাহায্য করে থাকেন তিনি । তাঁর ওই আশ্রমকে ঘিরেই দিনযাপন বহু মানুষের ।
আরও পড়ুন : নিউজ18 বাংলার খবরের জের, গাছ পাচার রুখতে পদক্ষেপ প্রশাসন ও বনদফতরের
‘গুরুমা’ বলে পরিচিত কমলি সোরেনের পদ্মশ্রী মনোনয়ন নিয়ে বিতর্কও কিছু কম হয়নি । অনেকে গৈরিকীকরণ হয়েছে বলেও অভিযোগের আঙুল তোলেন । প্রশ্ন ওঠে কমলি সোরেনের আরএসএস ঘনিষ্ঠতা নিয়ে । আসরে পাল্টা নেমে আরএসএস-ও দাবি করে, সমাজসেবার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন কমলি । প্রান্তিক মানুষের জন্য তাঁর ভূমিকা প্রশ্নাতীত ।
আরও পড়ুন : নেতা-মন্ত্রী নন, পুজো উদ্ধোধন কৃষকদের হাতে! চমকে দিল মালদহ
যদিও মালদহে ফিরে সেই বিতর্কে যাননি কমলি । তিনি বলেন, এই পুরস্কার সামাজিক ক্ষেত্রে মানুষের জন্য আরও কাজ করতে তাঁকে অনুপ্রাণিত করবে । আগামী দিনেও দুঃস্থ দরিদ্রদের জন্য কাজ করে যাবেন তিনি । পদ্মশ্রী সম্মান পেয়ে তিনি অভিভূত ।