সাত সকালে জানালা খুললেই বেডরুম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য দিয়ে দিনের শুরুটা করা যেতেই পারে। আর লনে বসেই দেখা যাবে ঘুমন্ত বুদ্ধর অপরূপ দর্শন। ধবধবে সাদা বরফে মোড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা! খুব কাছেই রয়েছে সান রাইজ দেখার ভিউ পয়েন্ট। চারপাশে রয়েছে জঙ্গল, নদী আর পাহাড়ি ঝোড়া(pabong homestay)। অদূরেই পানবু ভিউ পয়েন্ট। রয়েছে নোকডারা লেক, ডাবলিং, সামথার লেক। দিনভর ইতিউতি ঘোরাফেরা। ইচ্ছে হলে ট্রেকিংয়ের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে নেওয়া। তারপর সন্ধ্যেয় ফিরে এসে বন ফায়ার বা বারবিকিউ করতে পারবেন পর্যটকেরা। এক্কেবারে নিঝুম এই পাহাড়ি গাঁয়ে ঘোরার ষোলো আনা মজা লুফে নিতে পারবেন পর্যটকেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পাহাড়ের কোলে কমলালেবুর দেশ সিটং, নিরিবিলি আর বন ফায়ারে জমুক ছুটির মেজাজ!
এখান থেকে কালিম্পং শহরের দূরত্ব মাত্র ২৮ কিলোমিটার। সম্পূর্ণ ভেষজ উপায়ে তৈরি হয় শাক, সবজি। আলু, বিন্স, স্কোয়াশ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ভেণ্ডি, বেগুন, গাজর সহ নানান পাহাড়ী শাক(pabong homestay)। মিলবে পাহাড়ি ডল্লে লঙ্কাও! দেশী চিকেন বা এগ কারি তো মিলবেই। সঙ্গে পর্যটকেরা চাইলে স্থানীয় রকমারি নেপালী খাবারও উঠতে পারে পাতে। সেজন্য অবশ্য বাড়তি খরচ বহন করতে হবে। এমনিতে থাকা এবং খাওয়া মিলিয়ে মাথাপিছু খরচ দিনপ্রতি ১২০০ টাকা। যাতায়াতের গাড়িভাড়া বা ভিউ পয়েন্ট দেখার জন্যে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। কীভাবে যাবেন পাবংয়ে? (১) এনজেপি বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কালীঝোরা অথবা ২৯ মাইল হয়ে সোজা পাবং।(২) এনজেপি বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ঘুরপথে কালিম্পং হয়ে পাবং।
Partha Sarkar