জেলার বাজারে এখন রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে নাগপুরের কমলালেবু। কমলালেবু ব্যবসায়ী কালু বলেন, প্রতিদিন গড়ে এক হাজার কুইন্টাল কমলালেবু আসছে। কমলালেবুর স্বাদ ভাল, তাই বিক্রিও হচ্ছে নাগপুরের কমলালেবু।
বর্তমানে মালদহের বাজারে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার কুইন্টাল কমলালেবু আসছে নাগপুর থেকে। প্রথমদিকে একশো থেকে দুইশো কুইন্টাল কমলালেবু নাগপুর থেকে মালদহে আসছিল। কিন্তু ফল ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বাজারে বর্তমানে ব্যাপক হারে চাহিদা বাড়ছে কমলালেবুর। তাই জেলার চাহিদা পূরণ করার জন্য নাগপুরের কমলালেবুর উপর ভরসা করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। দার্জিলিং-এর কমলেবুর মতো না হলেও, মিষ্টি স্বাদের নাগপুরের কমলালেবুর ব্যাপক চাহিদা। বর্তমানে মালদহের বাজারে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই কমলালেবু। শুধু মালদহ নয়, মালদহের পাইকারি ফল বাজার থেকে নাগপুরের কমলালেবু উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিন গড়ে ১০ লরি কমলালেবু নাগপুর থেকে মালদহে নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ড বলেন, দার্জিলিং-এর কমলালেবু পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে। তাই বাজার দখল করছে নাগপুরের কমলালেবু। এই কমলালেবুও খেতে ভাল। মালদহ-সহ উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এই কমলা বিক্রি হচ্ছে মালদহ থেকে।
advertisement
গোটা মরশুম জুড়েই নাগপুরের কমলালেবু মালদহের বাজারে বিক্রি হয় এমনটাই দাবি ব্যবসায়ীদের। কারণ বর্তমানে দার্জিলিং-এর কমলালেবু পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু দার্জিলিং-এর কমলা মালদহে আসলেও দাম প্রচুর। সাধারণ মানুষ তাই নাগপুরের কমলার উপরেই ভরসা করে থাকেন। প্রতিবছর নাগপুরের কমলালেবুর চাহিদা মালদহের বাজারে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীদের একাংশ।
হরষিত সিংহ