এই এলাকায় রয়েছে বাসরা নদী। জঙ্গল নদী লাগোয়া। বাসরা নদীর একপাশে রয়েছে বন দফতরের পানা মোবাইল রেঞ্জ, অপরপাশে রয়েছে হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জ। তারপরেও বুনো হাতিদের আটকানো যাচ্ছেনা বলে জানা যায়।প্রায় প্রতি রাতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে বুনো হাতি গ্ৰামে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালাচ্ছে। বুনো হাতি এলাকার বাসিন্দাদের সুপরি বাগান তছনছ করে দেয়।
advertisement
বসন্তে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি! কোন কোন জেলা ভাসবে? দোলের আগে কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া? দেখুন আপডেট
তাদের জমির ফসল নষ্ট করে দেয় বলে অভিযোগ। প্রতিদিন রাত আটটা বাজলেই বুনো হাতির দল গ্ৰামে প্রবেশ করছে। গ্ৰামবাসীরা ও বনকর্মীরা শব্দবাজি পুড়িয়ে হাতির দলকে জঙ্গলে পাঠাতে হচ্ছে প্রতি রাতে।লাগাতার হাতির হানায় ক্ষতিগ্ৰস্থ এলাকার কৃষকরা ও সুপরি চাষীরা।এই হাতির হানার কারণে পূর্বে যেখানে ৩০ বিঘা জমিতে সুপরি চাষ হত। তা কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১৩ বিঘাতে।এই ১৩ বিঘা জমির সুপরি বাঁচানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছে কৃষকদের কাছে।
‘সুপারফুড’ হলেও অত্যন্ত বিপজ্জনক এই সবুজ শাক! ‘অক্সালেট’ থাকে, বেশি খেলেই ঝাঁঝরা হবে কিডনি!
রোজ হাতি আসছে আর সুপরি গাছ যে পরিমাণে ভাঙছে তাতে ৫ বিঘা জমির সুপরি বাঁচবে কি না তা জানা নেই কৃষকদের। এই বিষয়ে কৃষক মোহন শর্মা জানান, \”সুপরি চাষ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা লেবুর চাষ করি এখন। আনারস চাষ করি হাতির থেকে বাঁচতে। কিন্তু সুপরি চাষ বছরে তো একবার হয়। মুনাফা অনেক হয়, কিন্তু হাতির উপদ্রবে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।\”
ধুলো পড়ে ‘বেহাল’ সিলিং ফ্যান? ‘মই’ ছাড়াই এই উপায়ে ৫ মিনিটে পরিষ্কার করুন…ঝড়ের মতো হাওয়া পাবেন!
কৃষকদের পক্ষ থেকে জানা যায়,সুপরি গাছ নতুন রোপন করা হলে তা একটু বড় হলেই গাছের কচি বাকল খেতে চলে আসে হাতির দল। এটি হাতিদের প্রিয় খাবার বলে জানা যায়।এই কারণে কারও ২ বিঘা, কারও ৩ বিঘা জমির সুপরি গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কচি বাকল না পেলেই হাতিদের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তখনই তছনছ করে দিচ্ছে সুপরি ক্ষেত।কাঁচা সুপরি নষ্ট হয়েছে প্রচুর।
Annanya Dey