সূত্রের খবর, শনিবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর রেল স্টেশনে অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তি ট্রেন থেকে নামতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। অসাবধানবশত রেলের চাকায় হাত এবং পা কাটা যায় তাঁর। আহত বৃদ্ধকে দীর্ঘক্ষণ প্লাটফর্মে শুইয়ে রাখা হয়। এমনকি যাত্রীরা সাহায্য করতে এগিয়ে আসলেও তাঁদেরকেও লাঠি উঠিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে দীর্ঘক্ষণ প্লাটফর্মে পড়ে থাকায় অতিরিক্ত রক্তপাতে ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধ। কার্যত বিনা চিকিৎসাতেই ওই বৃদ্ধ হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ছটফট করতে করতে মারা যান, বক্তব্য স্থানীয়দের।
advertisement
এর পরে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন- চালকদের পাশেই আছে রেল! কী কী সুবিধা পান লোকো পাইলটরা?
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,আহত ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। ফলে চিকিৎসার কোনও চেষ্টাই করা যায়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আগে আনলে বাঁচানোর চেষ্টা করা যেত। কিন্তু, সেই সুযোগ পাওয়া যায়নি। এমনকি মৃত্যুর পরেও ওই দেহের দায়িত্ব কে নেবে এই নিয়েও দীর্ঘক্ষণ টানাপড়েন চলে রেলপুলিশ এবং হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশের মধ্যে। মৃতদেহের পরিচয় বেলা পর্যন্ত জানা যায়নি। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
যদিও এই অমানবিক ঘটনার মুখে কুলুপ এঁটেছে রেল কর্তৃপক্ষ। স্টেশন মাস্টার সহ কেউই এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।