বছরের সব সময়ই পানবুতে আসা যায়। যদিও বেশিরভাগ মানুষ গরমের ছুটিতেই ঘুরতে যায়, তবে জানিয়ে রাখি, গ্রীষ্মকালে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও কাঞ্চন চূড়া দেখার সম্ভাবনা খানিকটা কম। কারণ সেই সময় কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছাকাছি মেঘের আস্তরণ থাকে।
advertisement
তবে যারা ভিড়ভাট্টা পছন্দ করেন না তাদের জন্য এই জায়গাটি দারুণ একটি জায়গা। আসলে পাহাড় বা অন্যান্য জায়গা থেকে পানবুর ভিউ একটু অন্যরকম। বলা চলে, এখানকার সৌন্দর্য যেন আরও বেশি। এমন সুন্দর ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ সত্যি খুব বিরল। কারণ এই একদিকে যেমন ডুয়ার্সের সৌন্দর্য দেখা যায়। ঠিক অন্য দিকে মনমুগ্ধকর কাঞ্চনজঙ্ঘা।
কালীঝোরা হয়ে আসার পথে রাস্তায় পড়বে তিস্তা। এক অপূর্ব সুন্দর ভিউ পাবেন আপনি। তার সঙ্গে দেখতে পাবেন, সেভকের রেল ব্রিজ আর ঐতিহ্যশালী করোনেশন ব্রিজ। এখানে দুই একটি হোম স্টে রয়েছে।
এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার খুব ভাল ভিউ পাওয়া যায়। এখানে থাকার ব্যবস্থাও খুব সুন্দর। রাস্তাঘাট ভাল হওয়ার সৌজন্যে হোমস্টের দোরগোড়া পর্যন্ত গাড়ি যেতে পারে। রয়েছে ক্যাম্পিংয়ের সুবিধাও।
শিলিগুড়ি থেকে রম্ভিবাজার হয়ে পানবুর দূরত্ব প্রায় ৭৩ কিমি। তবে কালীঝোরা হয়ে গেলে এই দূরত্ব খানিকটা কম হয়। এখানে শুধু পানবুডারাই নয়, খুব কাছেই রয়েছে ইয়াং মাকুম আর সামথার।
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন এখান থেকে চারখোল, সিঞ্জিদারা, ঝান্ডিদারা, ডেলো, দুরপিনের সৌন্দর্যও চাক্ষুষ করে আসতে পারেন। তাই ছুটির দিনে ঘুরে আসুন মন ভাল করা এই জায়গা। (রিপোর্টার– অনির্বাণ রায়)