COFAM বিভাগ কিছু সহজলভ্য ও স্থানীয় উপকরণ দিয়ে এমন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে, যার মাধ্যমে কৃষকরা নিজেরাই সহজে বায়োচার তৈরি করতে পারবেন। এটি বিশেষভাবে উপকারী হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিদের জন্য, বিশেষত উত্তরবঙ্গের চা চাষিদের মাটির গুণমান উন্নয়নে।
advertisement
বায়োচার মূলত কাঠকয়লার মতো দেখতে একধরনের জৈব পদার্থ, যা অক্সিজেন সীমিত পরিবেশে জৈববস্তুর পাইরোলাইসিস প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। এতে উচ্চমাত্রায় কার্বন ও ছাই থাকে এবং এটি মাটিতে প্রয়োগ করলে অনেক উপকার হয়, যেমন: মাটির বায়ুচলাচল বাড়ানো, অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি কমানো, মাটিতে পুষ্টির লিচিং কমানো, জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানো, ইত্যাদি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই বায়োচারকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে একটি কার্যকর অস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কারণ এটি হাজার হাজার বছর ধরে মাটিতে অবিকৃত অবস্থায় থাকতে পারে, ফলে কার্বন অপসারণের একটি টেকসই উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
COFAM বিভাগের মতে, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বড় কোম্পানি এই প্রযুক্তিতে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে। তবে তাদের লক্ষ্য, চাষিরা যাতে নিজেরাই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন এবং কোম্পানিগুলোর ওপর নির্ভর না করতে হয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বায়োচার প্রয়োগের সময় সঠিক পরিমাণ ও উপযুক্ত ফিডস্টক ব্যবহার না হলে কিছু নেতিবাচক প্রভাবও দেখা দিতে পারে, যেমন মাটির জৈব গুণাগুণ হ্রাস, pH ভারসাম্য পরিবর্তন বা লবণাক্ততা বৃদ্ধি।
তবুও, বর্তমান জলবায়ু সঙ্কটের সময় দাঁড়িয়ে COFAM বিভাগের এই উদ্যোগ উত্তরবঙ্গের কৃষিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে, এমনটাই আশা করছেন কৃষি গবেষক ও পরিবেশবিদরা।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য





