সীমা বলে, ব্যাগ, বই কিছুই আমার খুঁজে পাচ্ছি না। ঘরে এত পরিমাণ পলি জমেছে যে তার নীচে কিছু থাকলে সেটাও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। রিমা বলছে, দুই একটা পাতা খুঁজে পেয়েছি আমার বইয়ের। কিন্তু তা দিয়ে পড়াশোনা করতে পারব না। ক্লাস ফোরের সবুজ, ভেঙে যাওয়া বাড়ির দাওয়ায় থম মেরে বসে আছে। মাথার ওপরে ঝুলছে কাদা মাখা ছেঁড়া স্কুল ব্যাগটা। দিদির স্কুলের পোশাকটা পাওয়া গেছে ঝোপ থেকে। তারটা কই? জানে না সবুজ।
advertisement
আরও পড়ুন: টাকা ভেসে গেছে জলে, বইপত্র..সব নষ্ট! ত্রাণের খাবার খেয়ে আর কতদিন? দিন গুনছে চা-বাগান
সবুজ বলছে, মা অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কোথাও বই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরের সব জিনিস চলে গেছে। সব নষ্ট হয়ে গেছে। আপাতত পানীয় জল আনতে একবার মায়ের সাথে লাইন দিতে হচ্ছে বা গ্রামে ত্রাণ দিতে আসলে ছুটতে হচ্ছে যদি একটা পোশাক মেলে। ক্লাস নাইনের সমরেশ অবশ্য টেনশনে নেই। পরের বার মাধ্যমিক দেবে সে৷ স্কুল থেকে বই মিলবে বলে সে আশাবাদী।
সমরেশ বলছে, মনে হয় পুজোর পরে স্কুল খুললে আমাদের স্কুল থেকে কিছু একটা ব্যবস্থা হবে। আপাতত আমাদের হাতে কিছু নেই। বিধ্বস্ত একাধিক গ্রামেই ছাত্র ছাত্রীরা হারিয়েছে বই। হারিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথি৷ সরকার অবশ্য তা দেবে বলেছে শীঘ্রই।মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছেন, চিন্তা করবেন না। নথি, বই আমরা সব দিয়ে দেব। বিপর্যয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ফের কবে স্কুল যেতে পারবে রিমা-সীমা-সবুজরা। অপেক্ষায় ডুয়ার্স।