গত বৃহস্পতিবার ভারতে আসেন মুত্তাকি৷ শুক্রবার তাঁর সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক হয়৷ সেই বৈঠক শেষে আফগানিস্তানে ফের দূতাবাস খোলার কথা ঘোষণা করে ভারত৷ আফগানিস্তানের মন্ত্রীও বিষয়টিকে আহ্বান জানান৷
নয়াদিল্লি: আফগানিস্তানে তালিবান সরকারের ‘ওয়াপসি’ হয়েছে সেই ২০২১ সালেই৷ কিন্তু, তার প্রায় ৪ বছর পরে ভারত সফরে এলেন তালিবান প্রশাসনের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি৷ সাক্ষাৎ করলেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে৷ দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আবারও নতুন ইন্ধন পেল৷ ভারত জানাল, আফগানিস্তানে ফের দূতাবাস খুলবে তারা৷ কিন্তু, অভিযোগ নয়াদিল্লিতে বসেই তালিবান নেতা এমন কাজ করলেন যার জেরে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হল মোদি সরকারকে৷
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র X হ্যান্ডেলে শুক্রবার পোস্ট করেন, ‘কী করে ভারত সরকার ভারতের মাটিতে সমস্ত সাহায্যের সঙ্গে তালিবান বিদেশমন্ত্রী আমির মুত্তাকিকে মহিলা সাংবাদিকদের বাদ দিয়ে, ‘মেল ওনলি’ সাংবাদিক বৈঠক করার অনুমতি দিল? ডয় এস জয়শঙ্কর কোন সাহসে এবিষয়ে সহমত হলেন? আর কী করেই বা আমাদের পুরুষ সাংবাদিকেরা ওই ঘরে গিয়ে বসতে পারলেন?’ মহিলা সাংবাদিকদের তথা মহিলাদের এই ভাবে অসম্মান করা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মহুয়া৷
advertisement
How dare our government allow Taliban foreign minister Amir Muttaqi to exclude women journalists & hold a ‘male-only’ news conference on Indian soil with full protocol? How dare @DrSJAishankar agree to this? & why did our emasculated spineless male journos remain in room?
গত বৃহস্পতিবার ভারতে আসেন মুত্তাকি৷ শুক্রবার তাঁর সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক হয়৷ সেই বৈঠক শেষে আফগানিস্তানে ফের দূতাবাস খোলার কথা ঘোষণা করে ভারত৷ আফগানিস্তানের মন্ত্রীও বিষয়টিকে আহ্বান জানান৷
Govt has dishonoured every single Indian woman by allowing Taliban minister to exclude women journalists from presser. Shameful bunch of spineless hypocrites. pic.twitter.com/xxnqofS6ob
জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতি ভারত৷ সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি ভারতের কারিগরি মিশনকে দূতাবাসের মর্যাদায় উন্নীত করার ঘোষণা দিতে পেরে আনন্দিত৷’’
আফগানিস্তানে দ্বিতীয় দফা তালিবান শাসন শুরু হওয়ার পর আবারও সে দেশের মহিলাদের উপরে একগুচ্ছ অনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ ভারতেও বিকেলে হওয়া মুত্তাকির সাংবাদিক বৈঠকে মহিলাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি৷
advertisement
এ বিষয়ে বহু মহিলা সাংবাদিকই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন৷ অনেকেই জানান, তাঁরা নির্ধারিত পোশাকবিধি মেনেই সাংবাদিক বৈঠকে গিয়েছিলেন৷ তা-ও কেন তাঁদের বৈঠকে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা জানতে চান তাঁরা৷ আর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সব পুরুষ সাংবাদিকদেরও বৈঠক বয়কট করা উচিত ছিল বলে লেখেন অনেকে৷ যদিও বিদেশমন্ত্রকের তরফে পরে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, বিষয়টির সঙ্গে তাদের কোনও যোগ ছিল না৷
advertisement
পরে তালিবান প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়, ‘মেল ওনলি’ সাংবাদিক বৈঠক করার বিষয়টি ‘অনিচ্ছাকৃত’ ভাবেই হয়েছে৷ মুত্তাকি নাকি, প্রায়ই মহিলা সাংবাদিকদের সাংবাদিক বৈঠক করে থাকেন৷