আকসার আলি মিঞা জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের এই পরিস্থিতিতেই মাতৃমা বিভাগের সামনে রাত কাটাতে হচ্ছে। এলাকার ড্রেনগুলিও পরিষ্কার নয় সম্পূর্ণ। মশার উপদ্রব রয়েছে অনেকটা। এই পরিস্থিতিতে রাত কাটানো মনে একপ্রকার নরকযন্ত্রণা ভোগ করা। তবুও একপ্রকার নিরুপায় হয়েই এখানে রাত কাটাতে হচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা টাকা পয়সার অভাবে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে পারছে না। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তার ওপর প্লাস্টিক বিছিয়ে মশারি টাঙিয়ে থাকতে হচ্ছে। তবে যেকোনও সময় বৃষ্টি আসার সম্ভাবনাও থাকছে অনেকটা।”
advertisement
আরও পড়ুন: লোকাল ১৮ বাংলার খবরের জের! বড় পদক্ষেপ ট্রাফিক পুলিশের! প্রাণ বাঁচবে পথচারীদের
ফালাকাটা থেকে কোচবিহারে আসা এক রোগীর আত্মীয় রোগীর আত্মীয়া নুর বানু জানান, “মহিলাদের এখানে থাকা অনেকটাই কষ্টকর। না রয়েছে পর্যাপ্ত বাথরুমের সুবিধা। না রয়েছে থাকার কোনও ব্যবস্থা। মহিলারা রাস্তার ওপর থাকতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন।” আরেক রোগীর আত্মীয় সুশীল ভদ্র জানান, “এই জায়গায় থাকতে হচ্ছে শুধুমাত্র রোগীর জন্য। নাহলে এতো কষ্ট কেউ করতে চান না।” এই বিষয়ে এমএসভিপি সৌরদীপ রায় জানান, “মাতৃমায় বিশ্রামাগার তৈরীর বিষয়টি বেশ কিছুটা সময় ধরে প্রস্তাব আকারে রয়েছে। সেটিকে দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাস্তার ওপর থাকার এই সমস্যার কারণে মাঝেমধ্যেই রোগীর আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হতে দেখা যায়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্যার আজও কোনও সমাধান করা সম্ভব হয়নি। বর্ষার মরসুমে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের এই ভোগান্তি আরোও অনেকটাই চরমে উঠবে। তাই তাঁরা চাইছেন দ্রুত সরকারি পদক্ষেপের মাধ্যমে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা। যাতে কিছুটা সুবিধা হয় তাঁদের থাকার জন্য।
Sarthak Pandit





