মালদহের চাঁচল থানা এলাকার মহেন্দ্রপুরের বাসিন্দা যুবক ফারিস আহমেদ। ওই রেলযাত্রীর গন্তব্য ছিল মালদা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। ট্রেন ধরার জন্য মালদা টাউন স্টেশনের আট নম্বর প্লাটফর্ম দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় শিশুর কান্না শুনে এগিয়ে যান ওই রেলযাত্রী। একটু উঁকি দিতেই দেখেন প্যাকেটের ভিতরে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট শিশু। সঙ্গে সঙ্গেই রেল পুলিশে খবর দেন তিনি। রেল পুলিশের উপস্থিতিতে প্লাস্টিকের ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে সদ্যোজাত শিশুপুত্র।
advertisement
ঘটনায় হইচই পড়ে স্টেশন চত্বরে। ভিড় করেন অন্যান্য রেলযাত্রীরা। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন স্টেশন ম্যানেজার থেকে রেল পুলিশ। এরপর রেল পুলিশের উদ্যোগে ওই শিশুটি উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে হাসপাতালে মাতৃ বিভাগে চিকিৎসাধীন। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: আবারও ঘনাবে কৃষ্ণ কালো মেঘ, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া, কবে থেকে রঙ বদলাবে আকাশ রইল আপডেট
কিন্তু কে রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বাচ্চাটিকে এনে রাখল? কারা তার বাবা-মা, তা জানা যায়নি এখনও। গোটা বিষয়টাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। রেল পুলিশের ধারণা, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই ওই শিশুটিকে প্ল্যাটফর্মে ছেড়ে যাওয়া হয়েছে। মালদা টাউন স্টেশনে তুলনামূলকভাবে রেল যাত্রী গতিবিধি কম আট নম্বর প্লাটফর্মে। এই প্লাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন দাঁড়ানোর সংখ্যাও প্রায় নগণ্য। সেই কারণেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহিলা ওই প্ল্যাটফর্মকেই বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছেন রেল আধিকারিকেরা। স্টেশনে প্লাটফর্মের সিসিটিভি ফুটেজ থেকেও এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
সেবক দেবশর্মা